কলকাতা: রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-র উচ্চপর্যায়ে বড়সড় রদবদল করল নবান্ন। বুধবার এডিজি-আইজিপি (সিআইডি) আর রাজশেখরনকে সরিয়ে এডিজি-আইজিপি (ট্রেনিং) পদে বদলি করা হয়েছে। তবে নতুন গোয়েন্দাপ্রধানের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রশাসনিক সূত্রে বলা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই নিয়োগ সেরে ফেলতে পারে রাজ্য সরকার। এ দিকে, এডিজি (ট্রেনিং) পদ থেকে দময়ন্তী সেনকে সরিয়ে এডিজি-আইজিপি (পলিসি) পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি-র পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি সিআইডি এবং পুলিশের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এর জেরে সিআইডি-র সর্বস্তরে এই রদবদল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিনের রদবদলে রাজশেখরন এবং দময়ন্তী ছাড়া আরও দুই আইপিএস কর্তার পদের পরিবর্তন হয়েছে। এডিজি-আইজিপি (ইবি) পদ থেকে রাজীব মিশ্রকে এডিজি-আইজিপি (মর্ডানাইজেশন) পদে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে, আর শিবকুমারকে এডিজি-আইজিপি (পলিসি) পদ থেকে এডিজি-আইজিপি (ইবি) পদে পাঠানো হয়েছে।
২১ নভেম্বর নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের কাজের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি নির্দেশ দেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। এই রদবদল সেই নির্দেশেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, খুব শিগগির পুলিশ ও প্রশাসনে আরও রদবদল হবে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদেরও বদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, কসবাকাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধানের দায়িত্বে থাকা মুরলীধরকে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধানকেও সরিয়ে দিলেন মমতা।