তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ছয়জন বিধায়ক অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। চিঠিতে তাঁরা মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়, চাপড়ার রুকবানুর রহমান, নাকাশিপাড়ার কল্লোল খাঁ, পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস, এবং কালীগঞ্জের নাসিরুদ্দিন আহমেদ।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী বিধায়কদের অভিযোগ, মহুয়া তাঁদের উপেক্ষা করে একাধিক ব্লক ও বুথ সভাপতির বদলি করেছেন এবং বিধায়কদের অগ্রাহ্য করে এলাকায় কাজ করছেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীকে মদত দিয়ে এলাকার রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থির করছেন। পাশাপাশি, সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে কুখ্যাত সমাজবিরোধীদের সঙ্গে চলাফেরা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, মহুয়া নাকি দলের নেতাকর্মীদের প্রলোভন দেখিয়ে দাবি করছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে (২০২৬-এ) বর্তমান বিধায়কদের সরিয়ে নতুন প্রার্থী মনোনীত করবেন। এমনকি বিজেপির বিরোধী কর্মসূচিতে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দলীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে মহুয়ার ‘সক্রিয় পদক্ষেপ’ এবং তাঁদের কাজকর্মে অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়েও অভিযোগ ওঠে।
তবে মহুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা এবং অসুস্থ মুকুল রায়ের নাম এই চিঠিতে নেই। বিষয়টি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং দেখার বিষয়, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগপত্র নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, মহুয়ার সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কদের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিধায়করা একদিকে যেমন সরব হয়েছেন সাংসদের বিরুদ্ধে। মহুয়ারও পাল্টা অভিযোগ ছিল নির্বাচনের সময় বিধায়দের সহযোগিতা তিনি পান না। তবে এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।