নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালের এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার ও এসএসসি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে শুরু হওয়া শুনানিতে প্রথম থেকেই নম্বর কারচুপির বিষয়টি তীব্র সমালোচনা উঠে আসে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “লিখিত পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো হয়েছে। নম্বর কারচুপি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করা যাবে কি না, তা রাজ্যের সম্মতির ওপর নির্ভর করছে।” রাজ্যের আইনজীবী জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ে রাজ্যের সমর্থন রয়েছে।
শুনানিতে সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানতে চান, “অযোগ্য প্রার্থীদের বাদ না দিয়ে কেন সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছিল?” রাজ্যের আইনজীবী জানান, “ওই পদ তৈরি করা হলেও কোনও নিয়োগ করা হয়নি। হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব ছিল না।” তবে আদালত এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি।
এসএসসির আইনজীবী দাবি করেন, ২৬ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে, তবে তা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয়। তবে ওএমআর শিট সংরক্ষণ না রাখার বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি কড়া প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এসএসসি কীভাবে তথ্য সংরক্ষণ না করে অন্য সংস্থার হাতে তা তুলে দিল? পঙ্কজ বনসলের কারচুপির বিষয়টি তো স্পষ্ট। এসএসসির দায় এড়ানোর উপায় নেই।”
শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এক বছর পর ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়, তবে মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এই পদ্ধতিকে ‘সাধারণত সঠিক নয়’ বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি, নাইসা ও স্ক্যানটেকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করার নির্দেশ দেওয়া হবে, তা জানতে উদগ্রীব সকলে। শুনানি শেষ না হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলা: নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আর্জিতে সাড়া, সিবিআইয়ের অবস্থান জানতে নির্দেশ হাই কোর্টের