আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসকদের ডিউটি ঘিরে বিতর্কের পর, রাজ্যের চিকিৎসকদের কাজের সময় নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনও চিকিৎসককে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হবে না। সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টার কাজ ছ’দিনে ভাগ করে করা হবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সপ্তাহে ছ’দিন উপস্থিতি একপ্রকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ইউনিটের চিকিৎসকদের অন্তর্বিভাগ ও এমার্জেন্সি পর্যবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। রোগীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে চিকিৎসকদের প্রতি দিন দু’বার দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সিনিয়র ফ্যাকাল্টির অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এবার থেকে রাতেও সিনিয়র ফ্যাকাল্টির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতি প্রমাণ হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বা এনএমসির কাছে অভিযোগ জানানো হবে।
নির্দেশিকায় উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ডিউটির সীমা: কোনও চিকিৎসককে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হবে না।
প্রাইভেট প্র্যাকটিস: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে নিষিদ্ধ।
সিনিয়র ফ্যাকাল্টির উপস্থিতি: রাতে হাসপাতালে সিনিয়র ফ্যাকাল্টি থাকতে হবে।
চিকিৎসকদের ভূমিকা: শিক্ষক ও চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন বাধ্যতামূলক।
দফতরের পরিদর্শন: অন্তর্বিভাগ ও এমার্জেন্সি পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বক্তব্য, চিকিৎসকদের সংখ্যা না বাড়িয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা আন্দোলন দমনের কৌশল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর, স্বাস্থ্য ভবনের এই পদক্ষেপ চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সরকারের।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

 
                                    