বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল বার্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন এবং নিজের দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে তাঁর বক্তৃতা সম্প্রচারিত হয়, যেখানে তিনি গত বছরের জুলাই-অগস্টের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকার পরিচালিত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর কড়া সমালোচনা করেন।
হাসিনার বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনে নিহত পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও। এক বিধবা পুলিশপত্নীর আর্থিক দুরবস্থার কথা শুনে হাসিনা প্রতিশ্রুতি দেন, “আমি আসব। অবশ্যই সাহায্য করব।” তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা তাঁর দেশে ফেরার ইঙ্গিত বহন করছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট ও হাসিনার প্রতিক্রিয়া
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংসতা চালিয়েছে এবং “সম্ভবত” মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ছিল। মানবাধিকার কমিশনার ফলকার টুর্কের মতে, “আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে ভয়ঙ্কর কৌশল নিয়েছিল।”
এই রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে হাসিনা বলেন, “আমার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম। আজ যারা পুলিশের হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিচ্ছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে।”
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর সমালোচনা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে। হাজার হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এখন চলছে ডেভিল হান্ট! কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে? সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”
হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বার্তা
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার পরিবারগুলিকে ন্যায়বিচার দেবেন এবং আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে দেশের শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হবে।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

