মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই দাবি সঠিক নয় বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মহাকুম্ভ সাধারণত ১২ বছর অন্তর হয় বলেই তাঁর ধারণা। তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও মহাকুম্ভ হয়েছিল। তাই ১৪৪ বছর পর কুম্ভ অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে মনে হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি গবেষকদের অনুরোধ করেছেন, এই বিষয়ে সঠিক তথ্য যাচাই করে জানাতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর মেলা প্রতি বছর হয় এবং মহাকুম্ভ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। কুম্ভ স্নানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি তাঁর পূর্ণ সম্মান রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে মহাকুম্ভের আয়োজনে পরিকল্পনার ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা থাকা জরুরি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিয়েবাড়ির আয়োজন করলে যেমন অতিরিক্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হয়, তেমনই ধর্মীয় উৎসবের ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা থাকা দরকার।
মৌনী অমাবস্যার দিন প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যাঁরা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারের কাছে যেন দ্রুত ক্ষতিপূরণ পৌঁছায়। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনও অনেকের মৃত্যু শংসাপত্র বা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়নি। সেই নথিগুলি দ্রুত প্রদান করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
যোগী আদিত্যনাথের কটাক্ষের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যোগী স্যার আমাকে যতই গালিগালাজ করুন, আমার গায়ে ফোস্কা পড়বে না। তবে আমি বলব, যাঁদের মৃত্যুর শংসাপত্র দেননি, ময়নাতদন্তের সার্টিফিকেট দেননি, তাঁদের তা দেওয়া উচিত।’’ বলে রাখা ভালো, ইতিমধ্যে মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।