এ বার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা নেওয়ার পদ্ধতি আরও সহজ হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য আধার-ভিত্তিক ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, আধার প্রমাণীকরণের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছে। এটি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের চালু করা আধার গুড গভর্নেন্স পোর্টালের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পোর্টালটি তথ্যসমৃদ্ধ গাইড হিসেবে কাজ করবে এবং প্রমাণীকরণ সংস্থাগুলোর জন্য এসওপি প্রদান করবে, যেখানে কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং আধার প্রমাণীকরণের জন্য কীভাবে অনবোর্ডিং সম্পন্ন করা যাবে তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা থাকবে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর গ্রাহক-সামাজিক অ্যাপেও ফেসিয়াল অথেনটিকেশন সংযুক্ত করা যেতে পারে, যা যে কোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে প্রমাণীকরণ সক্ষম করবে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আধার আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আধার প্রমাণীকরণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করতে চালু করা হয়েছে আধার গুড গভর্নেন্স পোর্টাল।
সরকার জানিয়েছে, এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (swik.meity.gov.in) চালু হয়েছে “আধার অথেনটিকেশন ফর গুড গভর্নেন্স (সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, ইনোভেশন, নলেজ) অ্যামেন্ডমেন্ট রুলস, ২০২৫”-এর অধীনে, যা ২০১৬ সালের “আধার (টার্গেটেড ডেলিভারি অফ ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড আদার সাবসিডিজ, বেনিফিটস অ্যান্ড সার্ভিসেস) অ্যাক্ট”-এর অংশ। সংশোধনীর মূল লক্ষ্য হল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো।
২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি, সরকার আধার আইনের সংশোধনী ঘোষণা করে, যা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য আধার প্রমাণীকরণ পরিষেবা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, উদ্ভাবন সক্ষম করা, জ্ঞান বিস্তার করা ও পরিষেবায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার মতো জনস্বার্থমূলক বিশেষ উদ্দেশ্যে আধার প্রমাণীকরণ পরিষেবা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, ২০১৮ সালে, সুপ্রিম কোর্ট আধার আইনের ৫৭ নম্বর ধারা অপ্রযোজ্য ঘোষণা করেছিল, যা বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আধার প্রমাণীকরণ ব্যবহারের অনুমতি দিত।
নতুন সংশোধনী অনুসারে, আধার নম্বরধারীরা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যপরিষেবা, হোটেল ও আতিথেয়তা খাত, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা, ই-কমার্স সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অ্যাগ্রিগেটর সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থাগুলো থেকে সুবিধা পাবেন।
ইউআইডিএআই-এর সিইও ভুবনেশ কুমার, এনআইসি-এর মহাপরিচালক ইন্দর পাল সিং সেথি, ইউআইডিএআই-এর সহ-সভাপতি মনীশ ভারদ্বাজ, এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতেরর সচিব এস কৃষ্ণন এই পোর্টাল উদ্বোধন করেন।
তাঁরা জানান, এই প্ল্যাটফর্ম চালুর মাধ্যমে এবং এর চারপাশের অন্যান্য প্রক্রিয়া ও সিস্টেম উন্নত করার মাধ্যমে, আমরা সুশাসন ও নাগরিকদের জীবনযাত্রার সুবিধার ক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যবহার যোগ করার প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর করবো।