পানাগড়-কাণ্ডে চার দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন সেই সাদা গাড়ির চালক বাবলু যাদব। বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করার সময় প্রথম বার মুখ খুললেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাবলু জানান, ঘটনার পর ভয় পেয়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গত রবিবার রাতে পানাগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চন্দননগরের বাসিন্দা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কয়েকজন মত্ত যুবক একটি সাদা গাড়ি নিয়ে সুতন্দ্রাদের নীল গাড়িটিকে ধাওয়া করে বারবার ধাক্কা দেয়, যার ফলে গাড়িটি উল্টে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর। যদিও পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে অন্য ছবি—তাদের দাবি, আসলে সুতন্দ্রার গাড়িই সাদা গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল, যার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে।
বাবলু যাদব যে গাড়ির মালিক ও চালক ছিলেন, তা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল পুলিশ। তবে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার বাবলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তনুশ্রীর প্রশ্ন, সাদা গাড়িতে আরও যারা ছিল, তাদের কেন এখনও ধরা হয়নি? তাঁর দাবি, সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবলুর আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। প্রায় দুই দশক আগে তিনি পানাগড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা শুরু করেন। এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চোরাই গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তবে জামিনে মুক্তি পান।
ঘটনার দিন, রবিবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর এক আহত কর্মীকে দেখতে বর্ধমান গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখন তদন্ত চলছে এবং বাবলুর সঙ্গে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।