গোটা বিশ্ব মোটা হচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বের মধ্যে চিনের পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি স্থুলকায় ব্যক্তি থাকবে। ল্যানসেটের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ৪৪ কোটি স্থুলকায় ব্যক্তি থাকবে ভারতে।
ল্যানসেটের জার্নালে স্থুলতার হার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যর্থতাকে ঐতিহাসিক ব্যর্থতা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও এক তৃতীয়াংশ শিশু স্থুল হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ল্যানসেটের জার্নালে ২০৫০ সালের মধ্যে ৩৮০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক আর ৭৪ কোটি ৬০ লাখ শিশু শিশু স্থুল হয়ে উঠবে।
ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, ভারতে ক্রমশ নীরব মহামারির আকার নিচ্ছে স্থুলতা। ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৪৪ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ স্থুল হয়ে উঠবে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২১ কোটি ৮০ লক্ষ পুরুষ ও ২৩ কোটি ১০ লক্ষ মহিলা।
২০৪টি দেশের ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের মধ্যে গবেষণা চালানো হয়। ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতে ১৯৯০ সালে স্থুলকায় পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০২১ সালে বেড়ে হয় ১৬ কোটি ৮০ লাখ। ২০৫০ সালেবেড়ে হবে ২২ কোটি ৭০ লাখ। ১৯৯০ সালে ভারতে কমবয়সি স্থুল মহিলার সংখ্যা ছিল ৩৩ লাখ। ২০২১ সালে সেটা বেড়ে হয় ১ কোটি ৩০ লাখ। চিন ও আমেরিকাকে হারিয়ে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি স্থুলকায় কমবয়সি মানুষ ছিল ভারতেই।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বের মধ্যে বছরে ভারত, ক্যামেরুন আর ভিয়েতনামে আল্ট্রা প্রসেসড খাবার ও সফট ড্রিংক বিক্রি হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। চিপস, নোনতা খাবার গ্রামেও বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে গ্রামের মানুষের মধ্যেও স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে।
স্থুলতার সমস্যা ডেকে আনে কোন কোন অসুখ
স্থুল ব্যক্তিদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, স্লিপ অ্যাপনিয়া, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, লিভারের সমস্যা, গল ব্লাডারের সমস্যা ডেকে আনে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়। স্থুলতা ও মানসিক অবসাদের সম্পর্ক আছে।