২০২০ সালে চালু হওয়া এবং ২০২৩ সালে ডিফল্ট হিসেবে নির্ধারিত নতুন কর ব্যবস্থায় সাধারণত কম ছাড় পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। তবে এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। নতুন ব্যবস্থাতেও বিভিন্ন ধরনের ছাড় ও করমুক্ত সুবিধা রয়েছে, যা চাকরিজীবী ও পেনশনভোগীরা কাজে লাগাতে পারেন।
২০২৫ বাজেটে কর ছাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
২০২৫ সালের বাজেটে বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরামন। নতুন কর কাঠামোতে কিছু নতুন করহার চালু করা হলেও পুরনো কর ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। পুরনো ব্যবস্থার অনেক ছাড় ও ছাড়পত্র বাদ দেওয়া হলেও নতুন ব্যবস্থাতেও বেশ কিছু কর ছাড় পাওয়া যায়।
নতুন কর ব্যবস্থায় যে সাত ধরনের ছাড় পাওয়া যায়
১. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন – চাকরিজীবী ও পেনশনভোগীরা ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।
২. অবসরকালীন সুবিধা – অবসরের সময় পাওয়া গ্র্যাচুইটি ও অনির্বাহিত ছুটির জন্য পাওয়া অর্থ নতুন ও পুরনো দুই কর ব্যবস্থাতেই করমুক্ত।
৩. ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস) ছাড় – নিয়োগকারীর দেওয়া ১৪ শতাংশ পর্যন্ত এনপিএস অবদান সম্পূর্ণ করমুক্ত। পাশাপাশি, প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিএফ) জমার ক্ষেত্রেও করমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়।
৪. অগ্নিপথ স্কিম ছাড় – অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে কর্পাস ফান্ডে প্রদত্ত অর্থ ৮০সিসিএইচ ধারায় করমুক্ত।
৫. পারিবারিক পেনশন ছাড় – পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে নতুন কর ব্যবস্থায় ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
৬. ভাতার ওপর ছাড় – বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত ভাতার ওপর কর ছাড় পাওয়া যায়, যেমন:
লিভ ট্রাভেল অ্যালাউন্স (এলটিএ) – ১০(৫) ধারা
হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স (এইচআরএ) – ১০(১৩এ) ধারা
বিশেষ ভাতা – ১০(১৪) ও ১০(১৭) ধারা
বিনোদন ভাতা – ১৬(২) ধারা
৭. উপহার কর ছাড় – বছরে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপহার করমুক্ত, এমনকি নতুন কর ব্যবস্থাতেও।
কর সঞ্চয়ের সেরা উপায়
এই কর ছাড়গুলোর সাহায্যে করদাতারা নিজেদের কর পরিকল্পনা যথাযথ ভাবে সাজাতে পারেন। করমুক্ত সুবিধাগুলোর যথাযথ ব্যবহার করলে নতুন কর ব্যবস্থার মধ্যেও সঞ্চয়ের সুযোগ রয়েছে।