বছরের পর বছর ধরে ইতিহাসপ্রেমী সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব্রিটিদের মনে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে থেকেছে অপার রহস্যে ঘেরা মিশর ও তার প্রাচীন ইতিহাস। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক মিশরে যান পিরামিড ও স্ফিংক্স দেখবেন বলে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম মিশরের গিজার পিরামিড। সেই গিজার পিরামিডের তলায় এবার আস্ত শহরের হদিশ মিলল।
সাধারণত, মিশরে ঐতিহাসিক পিরামিডের তলায় খননকাজ হয়না। তাই খুঁড়ে দেখা সম্ভব নয়। তবে বিশেষ র্যাডারের মাধ্যমে একদল গবেষক গিজার খাফরে পিরামিডের তলায় এক বিশাল স্থাপত্যের খোঁজ পেয়েছেন।
ইতালি ও স্কটল্যান্ডের ওই গবেষকরা পিরামিডের তলায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ফুট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের নির্মাণের খোঁজ পেয়েছেন অতি ক্ষমতাশালী র্যাডারের সাহায্যে। সেখানে একাধিক গোলাকার চোঙের মত স্থাপত্য তাঁদের আরও নজর কেড়েছে বলে দাবি করেন ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কোর্যাডো মালাঙ্গা ও স্কটল্যান্ডের স্ত্রাদক্লিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফিলিপ্পো বিয়োন্দি।
বিশাল সেই পাতকুয়োর মত স্থাপত্যের একদম তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য তার গা দিয়ে ঘোরানো সিঁড়িও রয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এমনকি, কয়েকজন গবেষকের ধারনা মাটির তলার কম্পনকে কাজে লাগিয়ে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত!
অনেকে আবার বিশাল জায়গা জুড়ে পিরামিডের তলার এই স্থাপত্যকে একটি শহর বলে ব্যাখ্যা করছেন। যা পিরামিডের তলায় ছিল। প্রসঙ্গত গিজার ৩টি পিরামিডের দ্বিতীয় বৃহত্তমটি হল ফারাও খাফরে-র পিরামিড।
আবিষ্কার কিন্তু সম্পূর্ণ সঠিক প্রমাণিত হলে পিরামিড সম্বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ধারনাই বদলে যেতে পারে। এমনকি বদলে যেতে পারে পিরামিড কেবল রাজা ও বিত্তবান মানুষের জন্যই ছিল, এমন ধারনাও। তবে এই দাবি ঘিরে কিছু প্রশ্নও উঠেছে। মাটির এতটা নীচ পর্যন্ত সত্যিই স্থাপত্য রয়েছে একথা মানতে চাইছেন না অনেক গবেষক। তবে সমালোচনা সত্ত্বেও নিজেদের দাবিতে অনড় ইতালি ও স্কটল্যান্ডের ২ গবেষক। তবে তাঁদের গবেষণাপত্র পিয়ার রিভিউ হওয়ার অপেক্ষায়।
আকর্ষণীয় হেডলাইন, ট্যাগ ও ডেসক্রিশন দিন।