বৈশাখ এখনও পড়েনি, তার আগেই চৈত্রের খরতাপে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। দক্ষিণ ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে দুপুরের রোদের তাপে রীতিমতো প্রাণ ওষ্ঠাগত। তবে এই অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই স্বস্তির খবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে বৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এরই প্রভাবে চৈত্রের শেষ দিক অর্থাৎ আগামী সোমবার, সংক্রান্তি পর্যন্ত একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কোন কোন জেলায় কেমন সতর্কতা?
শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে বইতে পারে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সব মিলিয়ে দক্ষিণে হলুদ সতর্কতা জারি।
শনিবার পরিস্থিতি আরও জোরালো হতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে।
রবিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়ায় ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।
সোমবার দক্ষিণের সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও ঝড়ের আভাস
শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি সাত জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে।
শনিবার দার্জিলিং ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরের আট জেলার জন্য জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
আবহের পেছনের কারণ
আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর-পূর্ব বিহার ও উত্তর বাংলাদেশের উপর একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। সেই কারণেই আগামী কয়েক দিন রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস।