২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন ‘অযোগ্য’ নন এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আর্জিতে সাড়া দিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘দাগি’ বা ‘অযোগ্য’ নন এমন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন।
তবে এই ছাড় শুধুই সাময়িক। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। সেই বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে আদালতে। পাশাপাশি, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগের পরীক্ষা ও সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
শীর্ষ আদালত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর না হলে আপাতত দেওয়া ছাড় প্রত্যাহার করা হবে এবং আদালত নতুন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে।
এই নির্দেশ কেবল নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয়। কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি বাতিল হবে এবং তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে। সিবিআই তদন্তে এঁদের মধ্যে বহু ‘অযোগ্য’ প্রমাণিত হলেও, কিছু ‘যোগ্য’ প্রার্থীর চাকরিও বাতিল হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে— এই যুক্তিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা দেবে। সেই কারণেই পর্ষদের আর্জি ছিল, যাঁরা ‘দাগি’ নন, তাঁদের আপাতত চাকরি বহাল রাখা হোক। সেই আবেদনে এ বার সাড়া দিল শীর্ষ আদালত।