উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। সাধারণত জুন মাসের ৮ তারিখ নাগাদ বর্ষা প্রবেশ করে বাংলায়। তবে এ বার আগেই হাজির হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে,২৪ বছর পর ফের মে মাসেই বর্ষা ঢুকল রাজ্যে। শেষ বার মে মাসে বর্ষা এসেছিল ২০০০ সালে, ২৯ তারিখে। এরপর ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালেও এমনটা হয়েছিল। তবে ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টানা চার বছর বর্ষা এসেছিল জুনেই। তার মধ্যে ২০২০ ও ২০২৩ সালে বর্ষা ঢুকেছিল ১২ জুন, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দেরিতে।
এ বারে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জন্যই বর্ষা অন্তত ১২-১৩ দিন আগেভাগে এসেছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। তবে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। কারণ, নিম্নচাপটি স্থলভাগের খুব কাছাকাছি তৈরি হওয়ায় সমুদ্রে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি এবং সমুদ্র থেকে শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। একই সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর দ্রুত অগ্রগতিও ঘূর্ণিঝড় তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেই বর্ষা প্রথম চার দিন দাপট দেখাবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও থাকবে একই অবস্থা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে রূপ নেবে।
প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর নজরে রাখতে বলা হয়েছে এবং অপ্রয়োজনে সেসব এলাকায় চলাচল এড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।