মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় নীতি পরিবর্তনের অংশ হিসেবে, ট্রান্সজেন্ডার নারীদের মহিলাদের বিভাগে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনাইটেড স্টেটস অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (USOPC)। ২০২৫ সালের ২১ জুলাই থেকে এই নতুন নীতি কার্যকর হবে।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ “Keeping Men Out of Women’s Sports” অনুযায়ী। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, মেয়েদের ক্রীড়াক্ষেত্রে কেবলমাত্র জৈবিকভাবে মহিলা হিসেবে জন্মানো খেলোয়াড়রাই অংশ নিতে পারবেন।
USOPC-এর নতুন “Athlete Safety Policy”-এর অধীনে সংযোজিত হয়েছে একটি পৃথক ধারা “Additional Requirements”, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ (Executive Order 14201) এবং “Ted Stevens Olympic & Amateur Sports Act”-এর কথা।
USOPC প্রেসিডেন্ট জিন সাইকস এবং সিইও সারাহ হির্শল্যান্ড একটি যৌথ মেমোতে টিম USA-র খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে লেখেন, “একটি ফেডারেলভাবে অনুমোদিত সংস্থা হিসেবে, ফেডারেল নির্দেশ মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব।”
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল বা প্রতিষ্ঠান যদি ট্রান্সজেন্ডার মেয়েদের মেয়েদের দলে খেলতে দেয়, তবে তারা ফেডারেল তহবিল হারাতে পারে। সেই সঙ্গে মেয়েদের জন্য পৃথক টিম ও লকার রুম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, টাইটেল IX-এর অধীনে নারীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে।
USOPC এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের নতুন নীতিতে নারীদের জন্য সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে এই নতুন নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
এই সিদ্ধান্ত এনসিএএ (NCAA)-এর সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নারীদের বিভাগে শুধুমাত্র জন্মসূত্রে নারী অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকের আগে এই সিদ্ধান্ত মার্কিন ক্রীড়াক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।