প্রায়সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে আধার কার্ডের জালিয়াতির ঘটনা। আধার কার্ডে অনেকেই জালিয়াতি করতে জন্মতারিখ বদল করে, বায়োমেট্রিক তথ্যে গরমিল করে। এসব গরমিল ও আধার কার্ডের জালিয়াতি রুখতে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আর মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। আধার কার্ড জাল করা ঠেকাতে এআই প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ভুয়ো ছবি, বায়োমেট্রিক তথ্যর গরমিল দূর করবে বলে জানিয়েছেন ইউএডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার।
এছাড়াও নথিপত্র জাল করা ঠেকাতে গোটা আধার কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ভাবনাচিন্তা করছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আধার কার্ডে আঙুলের ছাপ বদল করা ঠেকাতেও নিয়মের কড়াকড়ি করার পরিকল্পনা করেছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। শিশুদের আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য লাগে না। কেউ জালিয়াতি করে সেই সব কার্ড ব্যবহার করছে কিনা তা দেখবে এআই প্রযুক্তি নির্ভর ক্যামেরা।
এদিকে, ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার সরকার নিজের উদ্যোগে স্কুলে পৌঁছে শিশুদের আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার শিবির করবে। নিয়ম অনুযায়ী, শিশুদের বয়স ৫ বছর হয়ে গেলেই আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় অভিভাবকরা তা সময়মতো করেন না। ইউএডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার জানান, দেশে ৭ কোটির বেশি শিশুর আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করা হয়নি। ৫-৭ বছরের শিশুদের আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট বিনামূল্যে করা হয়।
৭ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা চার্জ লাগে। ৭ বছরের পর কোনো শিশুর আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট না হলে আধার নম্বর নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে। তাই অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে স্কুলেই আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করার শিবির ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে চালু করবে ইউএডিএআই কর্তৃপক্ষ।