Homeখবরদেশ২০২৪-এও ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা দুই লক্ষের ওপরে, তিন বছর ধরে রেকর্ড...

২০২৪-এও ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা দুই লক্ষের ওপরে, তিন বছর ধরে রেকর্ড ধারা অব্যাহত

২০২৪ সালে ২.১ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, যা টানা তৃতীয় বছর দুই লক্ষের ওপরে। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিদেশে স্থায়ী হওয়াই প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

প্রকাশিত

২০২৪ সালেও দুই লক্ষের উপরে থাকল ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা। যা টানা তিন বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে রেকর্ড করে চলেছে। 

লোকসভার এক প্রশ্নোত্তরে কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মোট ২.১ লক্ষ মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ কম হলেও এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা ছিল ২.২ লক্ষ এবং ২০২২ সালে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছিল ২.৩ লক্ষে, যা ২০১১ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে সর্বাধিক।

২০২০ সালে সর্বনিম্ন ৮৫,২৫৬ জন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন, যা ২০১৯ সালের ১.৪৪ লক্ষ থেকে ৪১ শতাংশ কম। তবে ২০২১ সালে তা প্রায় ৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১.৬৩ লক্ষে। ২০২২ সাল থেকে পরপর তিন বছর দুই লক্ষের বেশি মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।

২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই সংখ্যা তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল, বছরে গড়ে ১.২ থেকে ১.৪ লক্ষের মধ্যে ওঠানামা করত। ২০১১ সালে ছিল ১.২ লক্ষ, ২০১৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১.৩ লক্ষ, ২০১৬-তে ১.৪ লক্ষ হলেও ২০১৭-তে তা কমে ১.৩ লক্ষ হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পুনরায় ১.৪ লক্ষে পৌঁছয়।

এখানে ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যার একটি গ্রাফ দেখানো হলো, যেখানে ২০২২ থেকে টানা তিন বছর দুই লক্ষের ওপরে সংখ্যা বজায় রয়েছে।

২০১১ সালের ১.২ লক্ষ থেকে ২০২৪ সালের ২.১ লক্ষে পৌঁছনো মানে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার প্রায় দ্বিগুণ। এই সময়ে মোট ২০.৯ লক্ষের বেশি ভারতীয় তাদের পাসপোর্ট ছেড়েছেন।

বিদেশ মন্ত্রকের মতে, নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রধান কারণ ব্যক্তিগত—প্রবাসে কাজ, উচ্চশিক্ষা, কিংবা পারিবারিক কারণে বিদেশে স্থায়ী হওয়া। বর্তমানে ৩.৫৪ কোটি প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন, যার মধ্যে এনআরআই ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, “জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যুগে বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কেও বড় পরিবর্তন এসেছে।” তিনি আরও বলেন, “সফল, সমৃদ্ধ এবং প্রভাবশালী প্রবাসী সমাজ ভারতের জন্য সম্পদ, এবং তাদের সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর জন্য সরকার সচেষ্ট।”

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুন: ৮ বছরে সর্বনিম্ন খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্র তথ্য দিলেও বাস্তব কি তাই বলছে?

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘বিতর্কিত মানচিত্র’ উপহার দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আবার কূটনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার তিনি পাকিস্তানি সেনার...

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

আরও পড়ুন

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...