বলিউডের জনপ্রিয় চরিত্রাভিনেতা অচ্যুত পোতদার আর নেই। সোমবার (১৮ আগস্ট, ২০২৫) রাতে থানের জুপিটার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অভিনয়ে আসার আগে অচ্যুত পোতদার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। তবে তাঁর সত্যিকারের নেশা ছিল অভিনয়। আশির দশকে তিনি সিনেমা ও টেলিভিশনে পা রাখেন এবং শুরু হয় এক দীর্ঘ ও সফল যাত্রা।
চার দশকের বেশি সময়জুড়ে পোতদার কাজ করেছেন ১২৫টিরও বেশি সিনেমায়। সমালোচকদের প্রশংসিত ও বাণিজ্যিকভাবে সফল অসংখ্য ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ‘আক্রোশ’, আলবার্ট পিন্টো কো গুসা কিউঁ আতা হ্যায়, ‘অর্ধসত্য’, ‘তেজাব’, ‘পরিন্দা’, ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ‘দিলওয়ালে’, ‘রঙ্গীলা’, ‘বাস্তব’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘পরিণীতা’, ‘লাগে রহো মুন্না ভাই’, ‘দাবাং ২’ এবং ‘ভেন্টিলেটর’-এর মতো বিখ্যাত ছবিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে।
তবে রাজকুমার হিরানির ব্লকবাস্টার ৩ ইডিয়টস-এ কঠোর অথচ মায়াময় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসরের ভূমিকাতেই তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হন। তাঁর সংলাপ “কহেনা কেয়া চাহতে হো” এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ও মিম সংস্কৃতিতে সমানভাবে জনপ্রিয়।
শুধু বড়পর্দাই নয়, ছোটপর্দাতেও রেখেছেন অমোঘ ছাপ। ওয়াগলে কি দুনিয়া, মাজহা হোশিল না, মিসেস তেন্ডুলকর এবং ভারত কি খোঁজ সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছে। মঞ্চ, টিভি ও সিনেমায় সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে তিনি সহকর্মী ও দর্শকদের কাছ থেকে সমান শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
অচ্যুত পোতদারের প্রয়াণে চলচ্চিত্রজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ভক্ত ও সহকর্মীরা স্মরণ করছেন তাঁকে এক বিনয়ী, নিষ্ঠাবান এবং বহুমুখী শিল্পী হিসেবে।
ভারতীয় সিনেমা ও টেলিভিশনে তাঁর অবদান অমলিন হয়ে থাকবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম অভিনেতাদের অনুপ্রেরণা জোগাবেন তিনি।