মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সাংবিধানিক বেঞ্চে অন্য একটি মামলায় ব্যস্ত থাকায় রাজ্যের আইনজীবীরা স্থগিতের আবেদন জানান। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান, তাঁরা ১০ সেপ্টেম্বরের পর শুনানির আর্জি করেছেন। শীর্ষ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল এবং ছ’সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য ডিএ দিতে পারেনি। উল্টে আরও ছ’মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ থেকে ৭ অগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনই শুনানি চলেছিল বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে রাজ্যকেও ডিএ দিতে হবে—এই দাবির ভিত্তিতেই মামলা শুরু হয়। কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল ২০২২ সালে। হাই কোর্ট জানায়, ডিএ কর্মীদের অধিকার। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়।
রাজ্যের দাবি, ডিএ বাধ্যতামূলক নয় এবং কর্মীদের মৌলিক অধিকারও নয়। পাশাপাশি আর্থিক সঙ্কটের কথাও তুলে ধরে রাজ্য জানায়, ২০২৫-২৬ বাজেটে বকেয়া ডিএ-র জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। অন্যদিকে, মামলাকারীদের বক্তব্য—ডিএ সময়মতো দেওয়া সরকারের নীতি এবং বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে তা মেটাতেই হবে, প্রয়োজনে কিস্তিতে।
অগস্ট মাসে একাধিক দিন পিছিয়ে যাওয়ার পর এখন সেপ্টেম্বরে শীর্ষ আদালতে ফের শুনানি হবে ডিএ মামলার।
আরও পড়ুন: ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয় সিবিল স্কোর, স্পষ্ট করল অর্থ মন্ত্রক