Homeখবররাজ্যসুপ্রিম কোর্টে আবার পিছোল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছোল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি ফের পিছোল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে আরও দু’দিন সময় চেয়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।

প্রকাশিত

রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি ফের পিছোল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুনানির তালিকায় মামলাটি ছিল ৯৭ নম্বরে। রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকপিল সিব্বল সওয়াল করার কথা ছিল। তবে কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, মামলায় সওয়াল করতে আরও দু’দিন সময় লাগবে। ফলে আগামী সোমবার বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে শীর্ষ আদালত রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই কাজে ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ মানতে পারেনি। বরং আদালতের কাছে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। এর ভিত্তিতেই গত ৪ অগস্ট থেকে ৭ অগস্ট টানা শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। গত ১২ অগস্টও শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল, কারণ সেদিন কপিল সিব্বল বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআরআই) সংক্রান্ত মামলায় ব্যস্ত ছিলেন।

ডিএ মামলার উৎপত্তি হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের হারে ডিএ প্রদানের দাবিকে কেন্দ্র করে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এসএটি) এবং পরে কলকাতা হাই কোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। হাই কোর্ট জানায়, ডিএ কর্মীদের অধিকার, তারা কেন্দ্রীয় হারে তা পাওয়ার যোগ্য। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়।

রাজ্যের দাবি, ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, এটি মৌলিক অধিকারও নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক কাঠামো ভিন্ন হওয়ায় তুলনা চলে না। অন্যদিকে মামলাকারী পক্ষের যুক্তি, নির্দিষ্ট সময়ে ডিএ প্রদান সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। প্রয়োজনে কিস্তিতে হলেও বকেয়া ডিএ কর্মীদের দিতে হবে।

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, আর্থিক সঙ্কটের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ-র জন্য কোনও বরাদ্দও রাখা হয়নি। তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আবার পিছিয়ে গেল মামলার শুনানি। সরকারি কর্মীদের ডিএ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত রইল।

আরও পড়ুন: রেশন কার্ড নিয়মে বড় পরিবর্তন: ছ’মাস রেশন না তুললেই নিষ্ক্রিয়, জানুন বিস্তারিত

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে থেকে ফেরানো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সুনালি খাতুন ও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র। গর্ভবতী সুনালি ও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে আলোড়ন।