পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) কাঠামোয় বড় রদবদলের ঘোষণার পরই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ শানাল কংগ্রেস। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদম্বরম এবং দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ স্পষ্ট জানালেন, এই পরিবর্তন “অনেক দেরিতে এসেছে” এবং এখনো তা ‘সত্যিকারের জিএসটি ২.০’ নয়।
চিদম্বরম বলেন, “জিএসটি কাঠামোয় হার কমানো এবং সরলীকরণ অবশ্যই স্বাগত। তবে এই পরিবর্তন অন্তত ৮ বছর দেরিতে এসেছে। আমরা বছর বছর এই বিষয়ে সতর্ক করেছি, কিন্তু কেন্দ্র কান দেয়নি।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার কি “মন্থর প্রবৃদ্ধি, বাড়তে থাকা গৃহঋণ, কমতে থাকা সঞ্চয়, বিহার নির্বাচন, না কি ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ”— এসবের চাপে পড়েই এই পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে?
অন্যদিকে জয়রাম রমেশ জানান, রাজ্যগুলির অন্যতম প্রধান দাবি— রাজস্ব সুরক্ষায় ক্ষতিপূরণ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো—কেন্দ্র এড়িয়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “গতকালের ঘোষণাগুলি শিরোনাম তৈরি করেছে। তবে সত্যিকারের জিএসটি ২.০-র জন্য অপেক্ষা এখনো চলছে। এটিকে সর্বোচ্চ জিএসটি ১.৫ বলা যেতে পারে। উৎপাদন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বা এমএসএমই খাত কতটা স্বস্তি পাবে, তা সময় বলবে।”
রমেশ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী আগেই স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, “জিএসটি কাউন্সিল কি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা?”
তিনি আরও যোগ করেন, “২০১৭-তেই কংগ্রেস বলেছিল, জিএসটি ১.০ ‘Good and Simple Tax’ নয়, বরং ‘Growth Suppressing Tax’। আজ অর্থমন্ত্রীও স্বীকার করলেন যে এই কাঠামো শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে পড়েছিল।”
সরকারি অবস্থান
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানান, নতুন কাঠামোয় দুটি প্রধান হার থাকবে— ৫% ও ১৮%। বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যে রাখা হয়েছে ৪০% বিশেষ হার। জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন হার কার্যকর হবে, তবে পান মশলা, গুটখা, সিগারেট, জর্দা, কাঁচা তামাক এবং বিড়ি বাদে।
অর্থমন্ত্রীর দাবি, সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে নেওয়া হয়েছে এবং এতে মূলত মধ্যবিত্ত ও ভোক্তারা উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: জিএসটি ২.০ সংস্কারে চাঙ্গা বাজার, সেনসেক্স ৫০০ পয়েন্টের বেশি উর্ধ্বমুখী