দুর্গাপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘিরে বিতর্কের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার উত্তর কলকাতার একাধিক নামী মণ্ডপে শারদোৎসবের সূচনা করতে গিয়ে তিনি জানান, দেবীপক্ষ শুরু হয়নি বলেই তিনি পুজোর উদ্বোধন নয়, উৎসবের সূচনা করেছেন।
এদিন হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় ও শ্রীভূমি স্পোর্টিং-এর মণ্ডপে যান মুখ্যমন্ত্রী। হাতিবাগান সর্বজনীনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কাল মহালয়ার মাতৃতর্পণ হবে। মাতৃতর্পণের আগে মাতৃমূর্তির উদ্বোধন করি না, মহালয়ার দিন থেকে করি। আজ আমি প্যান্ডেল উদ্বোধন করলাম।”
মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, এ বছর প্রায় তিন হাজার পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর, যার মধ্যে বহু পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
তবে দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে উদ্বোধন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠানকে কালচারাল অনুষ্ঠানে পরিণত করতে চান।” সেই বিতর্কে ইতি টানতে মমতা নিজেই পরিষ্কার করলেন যে তিনি আসলে ‘পুজোর নয়, উৎসবের সূচনা‘ করছেন।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিনরাজ্যে বাঙালিদের ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পুজো উৎসব উপলক্ষে সবাই এক হন। আমি চাই আমাদের মাতৃভাষাকে সম্মান করা হোক। কিন্তু বাংলা ভাষায় কথা বললে অত্যাচার মেনে নেব না। এখান থেকে পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে যান কারণ তাঁদের প্রতিভা আছে, কাজের দক্ষতা আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আমরা চাই দেশ এক থাকুক।”
অর্থাৎ, উৎসবের সূচনা মঞ্চ থেকেই ভাষা, ঐক্য এবং দেশের অখণ্ডতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকুরিয়া সর্বজনীনে ‘কাবুলিওয়ালা’, পুজো মণ্ডপে সম্পর্কের আবেগঘন গল্প