সাউথ আফ্রিকা: ৬৯ (২০.৪ ওভার) (সিনোলা জাফতা ২২, লিনসে স্মিথ ৩-৭, ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট ২-৫, চার্লি ডিন ২-১৪, সোফি এক্লেস্টোন ২-১৯)
ইংল্যান্ড: ৭৩-০ (১৪.১ ওভার) (অ্যামি জোনস ৪০ নট আউট, ট্যামি বিউমন্ট ২১ নট আউট)
গুয়াহাটি: এত সহজে জয় বোধহয় খুব কম ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার বালাই ছিল না। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২০.৪ ওভারেই শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ২০.৪ ওভারে ৬৯ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪.১ ওভারে ৭৩ রান তুলে জয় করায়ত্ত করল ইংল্যান্ড।
১০ জন ব্যাটারেরই রান এক অঙ্কের
এটাও বোধহয় একটা রেকর্ড। দলের ১১ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন দু’অঙ্কের রানে পৌঁছোলেন। বাকি সবাই এক অঙ্কে আটকে থাকলেন। শুক্রবার গুয়াহাটির বারসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট। কিন্তু গুয়াহাটির ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট খোয়াতে শুরু করল প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারল না। একমাত্র ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নামা সিনোলা জাফতা (৩৬ বলে ২২ রান) ছাড়া বাকি দশ জন ব্যাটারই এক অঙ্কে আটকে থাকলেন। তাঁদের রান যথাক্রমে ৫, ৫, ২, ৪, ৬, ২, ৩, ৩, ৬ এবং ৩ রান।

ইংল্যান্ডের উল্লাস। ছবি ICC ‘X’ থেকে নেওয়া।
ইংল্যান্ডের বোলারেরা ভাগাভাগি করে নিলেন প্রতিপক্ষের উইকেটগুলি। সবচেয়ে সফল বোলার লিনসে স্মিথ। স্মিথ ৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন। বাকি উইকেটগুলি নিলেন ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট (৫ রানে ২ উইকেট), চার্লি ডিন (১৪ রানে ২ উইকেট), সোফি এক্লেস্টোন (১৯ রানে ২ উইকেট) এবং লরেন বেল (২৪ রানে ১ উইকেট)।
সব উইকেট হাতে রেখেই ইংল্যান্ড লক্ষ্যমাত্রায়
জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৭০ রান। কোনো সমস্যাতেই পড়তে হল না ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যামি জোনস এবং ট্যামি বিউমন্টকে। জোনস ৫০ বলে ৪০ রান এবং বিউমন্ট ৩৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর ওপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা ১২ রান অতিরিক্ত দেন। ফলে ১৪.১ ওভারেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ইংল্যান্ড পৌঁছে যায় বিনা উইকেটে ৭৩ রানে। লিনসে স্মিথ ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপ মহিলা ক্রিকেট: ব্যাটে-বলে দীপ্তির খেল, সঙ্গী অমনজোত-স্নেহা, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেল ভারত