কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে প্রতি ৩ জন শিশুর মধ্যে একজন উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছে। ৫-৯ বছর বয়সি প্রতি ৩ জন শিশুর মধ্যে একজনের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অত্যাধিক বেশি। রক্তে ছোটবেলাতেই এত বেশি পরিমাণে ফ্যাট জমা হলে তা ভবিষ্যতে হার্টের অসুখ ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে। এটি চতুর্থ এডিশন। ‘চিল্ড্রেন ইন ইন্ডিয়া ২০২৫’ শীর্ষক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৬৭% শিশুর রক্তে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে। সিকিমে ৬৪%, নাগাল্যান্ডে ৫৫%, অসমে ৫৭%, জম্মু-কাশ্মীরে ৫০% শিশুর রক্তে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে। কেরালায় ১৬.৬% ও মহারাষ্ট্রে সংখ্যাটা ১৯.১%। কমবয়স থেকে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি পরিমাণে থাকলে ভবিষ্যতে হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, স্থুলতার সমস্যা দেখা যায়। এমনকি কমবয়সেও এনার্জি কম থাকে। মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: রাতে ঘুম ভেঙে যায় দুঃস্বপ্নে? অবহেলা নয়, লুকিয়ে থাকতে পারে মানসিক বিপদ
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও ইন্ডিয়া ডায়াবেটিসের করা যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খাওয়ার ও বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত, চিনিযুক্ত ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হার্টের অসুখের মতো কার্ডিওমেটাবলিক ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ছে।