বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণার পর পরই বৃহস্পতিবার প্রশান্ত কিশোর (পিকে) নেতৃত্বাধীন জন সুরাজ পার্টি (Jan Suraaj Party) প্রকাশ করল তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকা। আগামী মাসে দুই দফায় যে নির্বাচনে ভোট হবে, তার জন্য এই প্রথম তালিকায় মোট ৫১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই তালিকায় নেউ পিকে-র নাম।
দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় ১৬ শতাংশ মুসলিম প্রার্থী এবং ১৭ শতাংশ অতি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের (EBC) প্রার্থী রয়েছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর বরাবরই দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির পক্ষে কথা বলেছেন, তাই এই প্রার্থী তালিকায় মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘পরিষ্কার ভাবমূর্তি’ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন।
গণিতবিদ থেকে চিকিৎসক — শিক্ষিত মুখে ভরসা কিশোরের
এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন গণিতবিদ কে.সি. সিন্হা (KC Sinha)। যিনি বহু প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা হিসেবে পরিচিত। তিনিই জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী হয়েছেন কুমহারার (Kumhrar) আসনে। তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যও।
আরও প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ওয়াই.বি. গিরি (YB Giri)— যিনি পাটনা হাই কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি অতীতে বিহারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং কেন্দ্র সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি মানঝি (Manjhi) বিধানসভা আসন থেকে লড়াই করবেন।
মুজাফ্ফরপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক অমিত কুমার দাস, যিনি পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী, দুজনেই চিকিৎসক, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।
প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান পিকে
প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, তিনি চান রাজনীতিতে প্রশাসনিক ও পেশাগত দক্ষতাসম্পন্ন মানুষদের যুক্ত করতে। তাই প্রাক্তন আমলা, পুলিশ অফিসার ও চিকিৎসকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে প্রথম তালিকায়।
তবে এই তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের নিজের নাম নেই। এতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে— তিনি আদৌ ভোটে লড়বেন কি না।সূত্রের খবর, কিশোরের পছন্দের দুটি আসন রাঘোপুর (Raghopur)— আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের আসন, এবং তাঁর নিজের জন্মভূমি কারগাহার (Kargahar)। কিন্তু প্রথম তালিকায় কারগাহার আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়েছে জনপ্রিয় ভোজপুরী গায়ক রীতেশ রঞ্জন (পাণ্ডে)-র। ফলে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, প্রশান্ত কিশোর হয়তো শেষ পর্যন্ত রাঘোপুর থেকেই লড়াইয়ে নামতে পারেন।