খবর অনলাইন ডেস্ক: অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কেন সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গার ‘স্পিরিট’ এবং ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি সিক্যুয়েল’ থেকে সরে দাঁড়াতে হল তাঁকে, তা খোলসা করে জানালেন বলি তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। কারও নাম না করে দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে লিঙ্গভিত্তিক দুমুখো নীতির অভিযোগ করলেন।
কল্কি ২৮৯৮ এডি সিক্যুয়েল-এর প্রযোজকরা দীপিকার সরে দাঁড়ানোর কথা গত মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে ছিলেন। তাঁরা বলেন, “এটা সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে যে, কল্কি ২৮৯৮ এডি-এর আসন্ন সিক্যুয়েল-এ দীপিকা পাড়ুকোন থাকছেন না। সব কিছু সতর্ক ভাবে বিবেচনা করে আমরা তাঁর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম ফিল্ম-এ দীর্ঘ যাত্রার পরেও আমরা শরিক হতে পারলাম না।” একই কথা জানানো হয়েছিল সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গার তরফেও।
এই ঘোষণার পরেই কানাঘুষো শোনা যায়, দীপিকা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি করেছিলেন। কিন্তু প্রযোজকরা তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি সরে দারিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কানাঘুষোয় সিলমোহর দিলেন দীপিকা। ‘পদ্মাবত’-এর অভিনেত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যা তিনি দেখছেন, তাকে দুমুখো নীতি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।
সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেছেন, “শুধুমাত্র একজন মহিলা হওয়ার দরুন যদি এই দাবিকে অতি-উদ্যোগী বা সেরকম কিছু হিসাবে দেখা হয়, তবে তা-ই হোক। কিন্তু এটা কোনও গোপন বিষয় নয় যে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরুষ সুপারস্টার বছরের পর বছর ধরে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করছেন এবং তা নিয়ে কখনও কোনো খবর হয়নি।”
দীপিকা আরও বলেছেন, “আমি এখনই কোনো নাম নিতে চাই না এবং এটা নিয়ে বড়ো কিছু করতে চাই না, কিন্তু এটা সর্বজনবিদিত যে বহু পুরুষ অভিনেতা বছরের পর বছর ধরে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই সোম থেকে শুক্র মাত্র আট ঘণ্টা কাজ করেন। তাঁরা সপ্তাহান্তে একেবারেই কাজ করেন না।”