মৌ বসু
চলছে দীপাবলি উৎসব। সামনেই ভাইফোঁটা। বাঙালির পেটপুজো ছাড়া যে কোনো উৎসবই পানসে। খাদ্যরসিক বাঙালির শেষ পাতে মিষ্টি ছাড়া চলে না। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধু বাঙালি নয় মিষ্টি প্রেমে মন মজেছে শহুরে ভারতীয়দের মন।
সাম্প্রতিক ওই সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ৫১% বাড়িতে প্রতি মাসে ৩-৪ বার বা তার বেশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মিষ্টি খাওয়া হচ্ছে। গত বছরও সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সে সময় ৪১% শহুরে ভারতীয় পরিবারে মিষ্টি খাওয়ার প্রচলন ছিল। সমীক্ষাতে স্পষ্ট মিষ্টি এখন ক্রমশ শহুরে নাগরিক জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
সমীক্ষাতে আরও জানা গেছে, ভারতের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ৫৬% শহুরে পরিবার মিষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের বেকারি পণ্য যেমন, কেক, বিস্কুট, আইসক্রিম, চকোলেট, ক্যান্ডি মাসে ৩-৪ বার খেতে অভ্যস্ত। ১৮% পরিবারে রোজ মিষ্টি খেতে অভ্যস্ত।
তবে মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠলেও সিংহভাগ ভারতীয় এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছে। তারা কম চিনি দেওয়া মিষ্টি পছন্দ করে। ৫৫% শহুরে ভারতীয় স্পষ্ট জানিয়েছে তারা পছন্দের মিষ্টি পদের সঙ্গে আপস না করলেও আগের চেয়ে ২৫-৭৫% কম চিনি দেওয়া মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। ভারতের শহরাঞ্চলের মানুষ এখন আর মিষ্টি খাওয়া অবরেসবরে নয় নিয়মিত খেতে পছন্দ করে। ভারতের ৩১১টি জেলার ৩৬ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়।
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ও ইন্ডিয়া ডায়াবেটিসের করা যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতীয়দের মধ্যে প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খাওয়ার ও বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত, চিনিযুক্ত ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হার্টের অসুখের মতো কার্ডিওমেটাবলিক ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি, আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন জীবনযাপন করতে অনেকেই কৃত্রিম শর্করা দেওয়া খাবার খান। চিনি এড়াতে কৃত্রিম শর্করা খেয়ে মানসিক শান্তি হয়ত পান কিন্তু অন্য বড়ো বিপদ লুকিয়ে আছে কৃত্রিম শর্করা ব্যবহারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে লো অথবা নো ক্যালরি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বা কৃত্রিম শর্করা দেওয়া খাবার খেলে মস্তিষ্ক বুড়ো হতে শুরু করে বয়সের আগেই। Neurology journal এ প্রকাশিত হয়েছে ‘ Association Between Consumption of Low- and No- Calorie Artificial Sweetners and Cognitive Decline’ নামক গবেষণা রিপোর্ট।
📰 আমাদের সাংবাদিকতায় সহায়তা করুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us