চলমান ধর্মঘটের কারণে ১৭,০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে বোয়িং কোম্পানি। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, ৭৭৭এক্স জেটের প্রথম ডেলিভারি ২০২৬ সালে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ত্রৈমাসিকে সংস্থাটি ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বোয়িংয়ের সিইও কেলি অর্টবার্গ বলেছেন, “আমাদের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে, তাই কর্মী সংখ্যা কমাতে হচ্ছে।” পশ্চিম উপকূলের প্রায় ৩৩,০০০ শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে৭৩৭ ম্যাক্স, ৭৬৭ এবং ৭৭৭ জেটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
অর্টবার্গ আরও জানান, আগামী মাসগুলিতে মোট কর্মী সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা নির্বাহী, ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য কর্মচারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই খবর পাওয়ার পর শেয়ার বাজারে বোয়িংয়ের স্টকের দাম ১.৭ শতাংশ কমেছে।
এছাড়া, বোয়িং বলেছে ৭৭৭এক্স বিমানের প্রথম ডেলিভারি ২০২৬ সালে হবে। বিভিন্ন কারণে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। আগে থেকেই সংস্থা ৭৭৭এক্স বিমানের জন্য ছাড়পত্র পেতে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, যা বিমানটির লঞ্চ বিলম্বিত করেছে।
আগামী ২৩ অক্টোবর বোয়িং তৃতীয় ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। তারা ১৭৮০ কোটি ডলারের রাজস্ব এবং শেয়ার প্রতি ৯.৯৭ ডলারের ক্ষতির পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বোয়িংকে নিজের রেটিং বজায় রাখতে ১০০০ থেকে ১৫০০ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে হতে পারে।
বোয়িংয়ের মোট ঋণ প্রায় ৬০০০ কোটি ডলার এবং প্রথমার্ধে তারা ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি নগদ প্রবাহের ক্ষতি করেছে।
চাকরি ছাঁটাই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ফলে সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা করা বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য ফার্লো প্রোগ্রাম শেষ করার কথা জানিয়েছে সংস্থা। ১৩ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট শুরু হওয়ার আগেই, নগদ অর্থের সংকটে পড়েছিল সংস্থা। কারণ একটি নতুন বিমানে জানুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা এবং পুনরুদ্ধার নিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছিল সংস্থা।