হাতে সময় বলতে কয়েকটা দিন মাত্র! ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫ করবর্ষ) জন্য বিলম্বিত ও সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪। এই সময়সীমা অতিক্রম করলে করদাতাদের বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।
বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল না করলে কী হতে পারে?
যাঁরা নির্ধারিত সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তাঁরা বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল করেন। এটি আয়কর আইন ১৩৯(৪)-এর আওতায় পড়ে। বিলম্বিত রিটার্ন দাখিলের জন্য সাধারণত ৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য হয়। তবে যদি করযোগ্য আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তা হলে জরিমানার পরিমাণ ১,০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এমনকী, করযোগ্য আয় যদি ৩ লক্ষের নিচে থাকে, তবে কোনও জরিমানা দিতে হয় না।
বিলম্বিত রিটার্ন দাখিলের সীমাবদ্ধতা
- বিলম্বিত রিটার্ন দাখিল না করলে করদাতারা রিফান্ড বা কর-ক্ষতির দাবি করতে পারবেন না।
- বিলম্বিত রিটার্ন দাখিলের পর শুধুমাত্র আপডেটেড রিটার্ন দাখিলের সুযোগ থাকে, যা কর বকেয়া থাকলে সম্ভব।
- পুরনো কর কাঠামোর অধীনে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই, কারণ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন কর ব্যবস্থা ডিফল্ট হিসেবে কার্যকর।
সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের গুরুত্ব
সংশোধিত রিটার্ন আগে করা আয়কর রিটার্নে থেকে যাওয়া ভুল সংশোধনের জন্য দাখিল করা হয়। এটি আয়কর আইন ১৩৯(৫)-এর আওতায় পড়ে।
- সংশোধিত রিটার্নের মাধ্যমে আয়, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা করছাড়ের ভুল সংশোধন করা যায়।
- ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এর পর সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের কোনও সুযোগ থাকবে না।
করদাতাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- অপ্রয়োজনীয় সংশোধিত রিটার্ন দাখিল না করাই ভালো। কারণ এটি আয়কর বিভাগের তদারকির আওতায় আসতে পারে।
- কর নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল সম্ভব।
যাঁরা এখনও রিটার্ন দাখিল করেননি, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে বিলম্বিত বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কোনও জরিমানা বা আইনি সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সংশয় থাকবে না।