ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সিবিল স্কোরকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি, স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। গত সপ্তাহে সংসদে দুটি আলাদা প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে আরবিআই কোনও ন্যূনতম ক্রেডিট স্কোর নির্ধারণ করেনি। তবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলি তাদের নিজস্ব বাণিজ্যিক নীতি, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা মেনে ঋণ প্রদান করে থাকে।
মন্ত্রী সংসদে জানান, সিবিল বা অন্য কোনও ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি (CIC) কেবলমাত্র ঋণগ্রহীতার ক্রেডিটযোগ্যতা এবং ঋণ শোধের ক্ষমতা যাচাই করার একটি মাধ্যম। এর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে বিলম্ব, ঋণ পুনর্গঠন, সেটেলমেন্ট বা রাইট-অফ সম্পর্কিত তথ্যও ঋণ মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরবিআই-এর সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথমবার ঋণগ্রহীতাদের কেবলমাত্র ক্রেডিট হিস্ট্রি না থাকার কারণে ঋণ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। একইসঙ্গে, আরবিআই নির্ধারণ করেছে যে কোনও ব্যক্তি নিজের ক্রেডিট রিপোর্ট সর্বাধিক ₹100 টাকায় পেতে পারেন। পাশাপাশি, প্রতি বছর একবার ফ্রি ক্রেডিট রিপোর্টও পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিল বা অন্য CIC–এর তথ্যের অপব্যবহার রুখতে আরবিআই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
- ক্রেডিট রিপোর্টে অ্যাক্সেস হওয়ার সময় গ্রাহককে এসএমএস বা ইমেল নোটিফিকেশন পাঠানো।
- ঋণখেলাপ বা বকেয়া কিস্তি থাকলে গ্রাহককে জানানো।
- অভিযোগ খারিজের আগে অভ্যন্তরীণ ওম্বাডসম্যান দ্বারা পর্যালোচনার ব্যবস্থা।
- প্রয়োজন হলে গ্রাহক আরবিআই ওম্বাডসম্যানের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
- গ্রাহক অভিযোগের রুট কজ অ্যানালিসিস (RCA) বছরে অন্তত দুইবার করা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া ২০২৪ সালের বাজেটে ঘোষিত ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন রেজিস্ট্রি (NFIR) ক্রেডিট ও অন্যান্য আর্থিক তথ্যের একটি কেন্দ্রীয় ভান্ডার হিসাবে কাজ করবে। তবে, বর্তমানে সিবিলকে প্রতিস্থাপন করার কোনও প্রস্তাব নেই বলেও সংসদে স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বাড়ছে প্রতারণা, মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পকে সতর্ক করলেন সেবি চেয়ারম্যান
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

