আয়কর দফতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমার জন্য নতুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম চালু করেছে। আয়কর আইনের ৬৮ নম্বর ধারার অধীনে, যাঁরা ব্যাঙ্কে নগদ টাকা জমা করছেন, তাঁদের আয়ের উৎস জানানো বাধ্যতামূলক। যদি কেউ তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৬০ শতাংশ কর ধার্য হবে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ সারচার্জ ও ৪ শতাংশ সেস অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবুও যদি সঠিক উৎস জানানো না হয়, তাহলে আয়কর দফতর নোটিশ জারি করে ওই টাকা পুনরুদ্ধার করবে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টের নিয়ম
আয়কর দফতর সেভিংস অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জমার সীমা নির্ধারণ করেছে। যদি এই পরিমাণের বেশি টাকা জমা করা হয়, তাহলে তার উৎস সম্পর্কে আয়কর দফতরকে অবহিত করতে হবে। অন্য দিকে, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমার সীমা ৫০ লাখ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। যদি এই সীমার বেশি অর্থ জমা করা হয়, তাহলে সঠিক উৎসের তথ্য দিতে হবে, না হলে বড়সড় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারেন।
মূলধন উত্তোলনে টিডিএস এবং টিসিএস
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বড় পরিমাণ অর্থ জমা ও তোলার ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। আয়কর আইনের ১৯৪এন ধারার অধীনে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ উত্তোলনের ওপর কর প্রযোজ্য হবে। একজন ব্যক্তি অর্থবর্ষে সর্বাধিক ৫০ লাখ টাকা তুলতে পারেন। যদি এর বেশি উত্তোলন করা হয়, তাহলে ২ শতাংশ টিডিএস (TDS) প্রযোজ্য হবে। তবে যাঁরা গত তিন বছরে আয়কর রিটার্ন জমা করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের ওপরই টিডিএস ধার্য হবে। এছাড়া, ৫০ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনে ৫ শতাংশ টিসিএস (TCS) প্রযোজ্য হবে।
সরকারের লক্ষ্য কী?
নগদ লেনদেন হ্রাস করতে এবং ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করতে এই কঠোর নিয়ম চালু করেছে সরকার। নগদ জমা ও তোলার ওপর নিয়ন্ত্রণ এনে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য।