মাত্র তিন মিনিটে এবং কোনও বিতর্ক ছাড়াই লোকসভায় পাস হল ইনকাম ট্যাক্স বিল, ২০২৫। সোমবার এই বিলটি পাশ হয় বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই, যারা বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিলটি ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে এখন রাজ্যসভা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায়।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পেশ করা এই বিলটি ৮ আগস্ট প্রত্যাহার করার পর সংশোধিত আকারে ফের পেশ করেন। সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এতে একাধিক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হলে এটি ১৯৬১ সালের ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট-এর জায়গা নেবে।
নতুন আইনে অধ্যায় ও শব্দসংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামানো হয়েছে, এবং ভাষা করা হয়েছে সহজবোধ্য। পুরনো ‘অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার’ ও ‘প্রিভিয়াস ইয়ার’ ধারণা বাদ দিয়ে আনা হয়েছে একক ‘ট্যাক্স ইয়ার’।
মূল পরিবর্তন ও সুবিধা:
- নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে নির্ধারিত সময়সীমার পরে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েও টিডিএস রিফান্ড পাওয়া যাবে।
- শিক্ষা খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা অর্থায়িত লিবারালাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS)-এর আওতায় বিদেশে টাকা পাঠালে শূন্য টিসিএস (TCS) প্রযোজ্য হবে।
- লোকসান বহন ও সেট-অফের নিয়ম সংশোধন, ‘বেনিফিশিয়াল ওনার’-এর উল্লেখ বাতিল।
- যোগ্য করদাতাদের জন্য ‘নিল টিডিএস সার্টিফিকেট’ দেওয়ার ব্যবস্থা।
- কম কর হারের সুবিধা নেওয়া সংস্থাগুলির জন্য ইন্টার-কর্পোরেট ডিভিডেন্ড ছাড় পুনরায় চালু।
- ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগের সংজ্ঞা এমএসএমই আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।
- চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও এনজিওগুলির কর ছাড়ের শর্ত স্পষ্ট করা— অজ্ঞাত দানের কারণে ছাড় নষ্ট হবে না।
কর বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঝুনঝনওয়ালার মতে-র মতে, এই বিল করদাতা বান্ধব ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করছে। এই নিয়ে আপনার কী মত, কমেন্টে জানান।
খবর অনলাইনে পড়ুন শিল্প-বাণিজ্যের আর নানা খবর