আমেরিকার ট্যারিফ নিয়ে অনিশ্চয়তার আবহে ভারত তার ওষুধ রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যময় করার পথে হাঁটছে। শিল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত এবার রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রাজিলে ওষুধ রপ্তানিতে জোর দেবে।
বর্তমানে ভারতের ওষুধ শিল্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ৫০% পর্যন্ত শুল্ক থেকে মুক্ত থাকলেও পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শোষণ করে, যেখানে মূলত জনপ্রিয় ওষুধের সস্তা জেনেরিক সংস্করণ রপ্তানি হয়। ২০২৫ অর্থবছরে সেখানে বিক্রি ২০% বেড়ে প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ওষুধ শিল্পসংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, “ভারত রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজছে। রাশিয়া, ব্রাজিল, নেদারল্যান্ডস এবং ইউরোপের কিছু অংশে বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।”
ভারতের রপ্তানি চিত্র
- যুক্তরাজ্য ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার—২০২৫ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছে ৯১৪ মিলিয়ন ডলার।
- ব্রাজিলে বিক্রি হয়েছে ৭৭৮ মিলিয়ন ডলার।
- নেদারল্যান্ডসে ৬১৬ মিলিয়ন ডলার।
- রাশিয়ায় ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নতুন বাজারে রপ্তানি ২০% পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে মার্কিন বাজারের গুরুত্ব অপরিবর্তনীয় থাকবে, কারণ সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে।
নতুন বাজারের চ্যালেঞ্জ
ভারতীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি দেশে থাকা বিধিনিষেধ ও নিয়ন্ত্রক সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে। এ বিষয়ে আলোচনা হবে আসন্ন আন্তর্জাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল প্রদর্শনীতে, যা দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং যেখানে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিরাও যোগ দেবেন।
ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি
ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করছে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে। ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের ফলে ব্রিটিশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) থেকে জেনেরিক ওষুধ ও API (Active Pharmaceutical Ingredients) কেনায় বড়সড় বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Jio Payments Bank আনছে ‘Savings Pro’: গ্রাহকদের অব্যবহৃত আমানত যাবে রাতারাতি মিউচুয়াল ফান্ডে
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us