ইদানীং বেতনভোগী ব্যক্তিদের ভুয়ো অথবা ভুল আয়কর রিটার্ন (ITR) জমা দেওয়ার ঘটনা মোকাবিলায় বড়োসড়ো পদক্ষেপ করেছে আয়কর (Income tax) বিভাগ। আত্মীয়স্বজনের নামে ভুয়ো ভাড়ার রসিদ জমা দেওয়া থেকে শুরু করে, বানানো অনুদান, ঋণের উপর অতিরঞ্জিত দাবি-সহ কর ফাঁকি দেওয়ার আরও বিভিন্ন অনৈতিক কৌশল রুখতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, এআই-এর সুবিধা নিয়েই এই জাতীয় সমস্ত রিটার্নকে চিহ্নিত করেছে আয়কর বিভাগ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগে আয়কর বিভাগকে ফাঁকি দেওয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ ছিল। কিন্তু এখন সেটা আর ততটা সহজ নয়। এখন একটি নতুন এআই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে প্রক্রিয়ায় এই ভুয়ো তথ্যগুলি সহজেই ধরে ফেলছে বিভাগ।
শনিবার ইকোনমিক টাইমস-এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি অনেক আয়করদাতাকেই নোটিশ দিয়েছে। তাঁদের দাবির ব্যাখ্যা ও প্রমাণ চেয়ে পাঠাৱো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য ধারা ১০ (১৩এ)-এর অধীনে বাড়ি ভাড়া ভাতা, গৃহ ঋণের সুদের উপর আয়কর আইনের ধারা ২৪ (বি)-এর অধীনে কর ছাড়ের জন্য এবং অফিসিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য একজন সহায়ক নিয়োগের জন্য ধারা ১০ (১৪)-এর অধীনে ভাতা প্রদানে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার জন্য নোটিশ ধরানো হয়েছে।
৫০ লক্ষ টাকার বেশি বেতনের ব্যক্তিদের এক দশকের মধ্যে পুনরায় মূল্যায়ন করা যেতে পারে, যেখানে ৫০ লক্ষ টাকার কম বেতনের ব্যক্তিদের জন্য আট বছরের জন্য পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, “এটা কর ফাঁকি শনাক্ত করার জন্য সঠিক পথে প্রযুক্তির ব্যবহার … ছোট ট্যাক্স ব্র্যাকেটের অনেক ব্যক্তি মনে করেন, ছোট মূল্যের ক্ষেত্রে কে দেখবে? যে কারণে তাঁরা প্রকৃত অর্থপ্রদান না করেই করছাড়ের দাবি করে”।
একইসঙ্গে, করদাতাদের রিটার্ন প্রস্তুত এবং ফাইল করার জন্য দায়ী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী বা আইটি পেশাদারের সম্পূর্ণ বিশদ জমা করতে বলেছে আয়কর বিভাগ।
আরও পড়ুন: আইটিআর দাখিলে কর ফাঁকির দিন শেষ! এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে আয়কর বিভাগ