প্রতারণার নয়া ফাঁদে পড়ে ৫৯ লক্ষ খোয়ালেন নয়ডার এক মহিলা চিকিৎসক। প্রতারকরা তাঁকে বলেছিল, টাকা না দিলে তাঁকে ৪৮ ঘন্টা’ ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে।
নয়ডা সেক্টর ৭৭-এর বাসিন্দা ডা. পূজা গয়াল গত ১৩ জুলাই একটি ফোনকল পেয়েছিলেন। কলকারী নিজেকে টেলিফোন রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একজন আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেয়। সে ডা. গয়ালকে বলে, তার ফোনটি পর্নো ভিডিও ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।পূজা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু কলকারী ব্যক্তি তাঁকে একটি ভিডিও কলে যোগ দিতে রাজি করায়।
ভিডিও কলে মহিলা চিকিৎসককে গুরুতর পরিণতির ভয় দেখানোর জন্য বলা হয়েছিল যে তিনি ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’- এর অধীনে রয়েছেন। তাঁকে ৪৮ ঘন্টা হেফাজতে রাখার ভুয়ো হুমকি দেওয়া হয়। এর পরে, ডা. গয়াল একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ৫৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা স্থানান্তর করেন।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে, ২২ জুলাই তিনি নয়ডা সেক্টর ৩৬-এর সাইবার ক্রাইম সেলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ এমন একটি পদ্ধতি যা দিল্লি এনসিআর-এ লোকেদের প্রতারণা করার জন্য ক্রমবর্ধমান ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতারকদের নয়া ফাঁদ ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’- এর খপ্পরে পড়ে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় এই নিয়ে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে, প্রতারকরা শিকারকে একটি বাড়িতে, কখনও কখনও একটি ঘরে আটকে রাখে এবং নিজেকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে জাহির করে। টার্গেটদের বোঝানোর জন্য জাল আইডি শেয়ার করে বলা হয় যে তারা আসল অফিসার।
এর আগে, দিল্লির অভিজাত চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার ৭২ বছর বয়সী এক মহিলার কাছ থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল। ডা. পূজা গয়ালের মতো, কৃষ্ণা দাশগুপ্তকে বলা হয়েছিল যে তাঁর ফোন অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ১২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হয়েছিল।