৯ জুলাই দেশ জুড়ে ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন ও একাধিক শিল্প ফেডারেশনের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দিতে চলেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরাও। এর ফলে ওই দিন সারা দেশে ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধ থাকতে পারে শাখাগুলি, এমনকি এটিএম পরিষেবাও।
এই সর্বভারতীয় ধর্মঘটের মূল উদ্দেশ্য—কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-বিরোধী নীতির প্রতিবাদ এবং শ্রমিক স্বার্থ সংক্রান্ত দাবি আদায়। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাঙ্ক, বীমা, রেল, পরিবহণ, টেলিকম, বিদ্যুৎ, খনি, নির্মাণ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারীরা।
ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে—
- সিটু (CITU)
- এআইটিইউসি (AITUC)
- আইএনটিইউসি (INTUC)
- এইচএমএস (HMS)
- ইউটিইউসি (UTUC)
- এলপিএফ (LPF)
- এসইডাব্লিউ (SEWA)
- এআইইউটিইউসি (AIUTUC)
- টি ইউ সি সি (TUCC)
- ধসু (DHASU)
এই সংগঠনগুলির অভিযোগ, শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় সরকার কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে না। চাকরির স্থায়িত্ব, ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা—এই সব ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা অবহেলিত। তারই প্রতিবাদে ৯ জুলাই দেশজুড়ে শ্রমিক শ্রেণির ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ এই ধর্মঘট।
ধর্মঘটের আওতায় ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বড় অংশ শামিল হওয়ায়, ওই দিন গ্রাহক পরিষেবা যেমন টাকা তোলা বা জমা দেওয়া, চেক ক্লিয়ারেন্স, পাসবুক আপডেট-সহ নানা পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, অনেক স্থানে এটিএম মেশিনেও নগদের জোগান কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সংলাপ বা আলোচনার আশ্বাস না মেলায় ধর্মঘট অনড় অবস্থানে রয়েছে সংগঠনগুলি। ফলে গ্রাহকদের মঙ্গলবারের মধ্যেই ব্যাকিং সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।