বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বিলে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা করদাতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, এটি এখনই আইন হয়ে যাচ্ছে না। এই বিল একটি সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হবে, যারা পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম দিন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
কী থাকছে নতুন আয়কর বিলে?
এই নতুন বিলে আয়কর হার বা স্ল্যাবের কোনো পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়নি। মূলত, করদাতাদের জন্য নিয়মকানুন সহজবোধ্য করার লক্ষ্যেই এর ভাষাগত সরলীকরণ করা হয়েছে।
৮০সি ধারার পরিবর্তন: এখন ক্লজ ১২৩
আগে যেখানে আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে বিভিন্ন বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়মূলক প্রকল্প কর ছাড়ের আওতায় পড়ত, নতুন আয়কর বিলে এই সুবিধাগুলি ক্লজ ১২৩-এর অধীনে রাখা হয়েছে।
নতুন আয়কর বিলে বলা হয়েছে, “একজন ব্যক্তি বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (এইচইউএফ) সেই করবর্ষে করমুক্তির জন্য নির্দিষ্ট বিনিয়োগ বা জমা করা অর্থের পুরো পরিমাণ কর ছাড়ের জন্য দাবি করতে পারবে, তবে তা এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না।”
এটি ৮০সি ধারার মতোই কাজ করবে এবং এখানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম, ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS), ইকুইটি লিঙ্কড সেভিং স্কিম (ELSS) সহ অন্যান্য সঞ্চয় প্রকল্পগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নতুন বিলের কাঠামো
নতুন আয়কর বিলটি ৬২২ পৃষ্ঠার, যেখানে মোট ৫৩৬টি ধারা রয়েছে। তুলনায়, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে ২৯৮টি ধারা ছিল, যা ৮২৩ পৃষ্ঠার মধ্যে বিস্তৃত।
পুরনো আয়কর আইনের প্রতিটি ধারার জন্য নতুন বিলে একটি নতুন সংশ্লিষ্ট ধারা রাখা হয়েছে। তবে, অপ্রয়োজনীয় বা পরিত্যক্ত ধারাগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন আইনে ধারার সংখ্যা বেড়ে পাঁচশোর বেশি হতে পারে, তবে এটি মোটের উপর সহজীকরণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন আয়কর বিলটি করদাতাদের জন্য আরও স্বচ্ছ এবং সহজবোধ্য হবে, তবে কার্যকর হতে সময় লাগবে।