ন্যূনতম ব্যালান্স না রাখায় এবার আর কাটা যাবে না টাকা! বড় সিদ্ধান্ত নিল একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
সাধারণ মানুষের স্বস্তির খবর। সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স না রাখার কারণে আর জরিমানা দিতে হবে না একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। বহুদিন ধরেই এই জরিমানার বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছিল, এবার সেই পথে হাঁটল ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, কানাড়া ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) বহু আগেই ন্যূনতম ব্যালান্স সংক্রান্ত জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল। এবার তার পথেই হাঁটল আরও বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
অর্থ মন্ত্রক সংসদে জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে শুধুমাত্র ন্যূনতম ব্যালান্স না থাকার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি সাধারণ গ্রাহকদের থেকে ৮ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা জরিমানা বাবদ আয় করেছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জরিমানার অঙ্ক ছিল ১,১৪২ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ সালে দাঁড়ায় ২,৩৩১ কোটিতে। যদিও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তা কিছুটা কমে হয়েছে ২,১৭৬ কোটি টাকা।
ব্যাঙ্ক অফিসার ও কর্মীদের সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্তকে তাঁদের আন্দোলনের জয় হিসেবেই দেখছেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত সাধারণ গ্রাহকদের আর্থিক স্বস্তি দেবে। তাঁরা আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।’ অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজের নাগর বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক জনগণের সম্পদ। সাধারণ মানুষের পকেট থেকে জরিমানার নামে টাকা নেওয়াটা ছিল অন্যায়।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় কারেন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কম হওয়ায়, এই অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে ব্যাঙ্কের আর্থিক ভারসাম্য ভাল থাকে। কিন্তু সম্প্রতি সেই আমানত কমে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। তাইই হয়তো জরিমানা ছাড়ার পথ বেছে নিয়েছে তারা, যাতে মানুষ ফের সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার প্রতি উৎসাহ পান।
এই সিদ্ধান্তে যেমন ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহক টানার সুযোগ পাবে, তেমনই সাধারণ মানুষও এক বড় আর্থিক চাপে থেকে মুক্তি পাবেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও যে খবর পড়তে পারেন
ভারতীয় পণ্যে ২৫% শুল্ক বসালেন ট্রাম্প! টাকার পতন, শেয়ার বাজারে ধাক্কা, আর কী হতে পারে আগামী দিনে?