Homeশিল্প-বাণিজ্যঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি! মূল সুদের হার অপরির্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি! মূল সুদের হার অপরির্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

প্রকাশিত

নয়াদিল্লি: ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তি! মূল সুদের হার বা রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India, RBI)

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি (Monetary Policy Committee, MPC)-র তিন দিনের বৈঠকে শেষে রেপো রেট নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে অপরির্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটির সকল সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২২৫ বিপিএস রেপো রেট বৃদ্ধি

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট ২৫ বিপিএস বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। তার আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি পর্যালোচনায়, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার ৩৫ বিপিএস বাড়িয়েছিল। তার পরে রেপো রেট ৬.২৫ শতাংশ হয়েছিল। গত বছরের মে থেকে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্পমেয়াদী ঋণের হার ২২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। টানা ষষ্ঠ বার বৃদ্ধির ফলে রেপো রেট এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে ৬.৫০ শতাংশে।

রেপো রেট কী

আরবিআই যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলা হয়। আবার বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয় তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।

ঋণগ্রহীতাদের উপর প্রভাব

সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট কমানোর পরই বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি নিজেরে সুদের হারে পরিবর্তন নিয়ে আসাটাই রীতি। ফলে রেপো রেট বাড়লে তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়ে ঋণ শোধের প্রক্রিয়ায়। ঠিক এই কারণেই রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে বাড়ি কিংবা গাড়ি কেনার ইএমআই বেড়ে যেতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই ঘোষণা ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তি দায়ক। কারণ গত দু’বছর ধরে আরবিআই যতবার রেপো রেট বাড়িয়েছে, অন্য ব্যাঙ্কগুলিও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঋণের সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এর ফলে গাড়ি, বাড়ি, পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইএমআই গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে রেপো রেট আরও বাড়ানো হলে তা মধ্যবিত্ত শ্রেণির পকেটে বড় ধাক্কা হতো। তবে আরবিআই আপাতত তেমন কোনো সিদ্ধান্তে গেল না। এপ্রিল মাসের মতোই এ মাসেও রেপো রেট রাখা হল অপরিবর্তিত। ফলে ঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তি বা ইএমআই যে বাড়ছে না তা এক প্রকার নিশ্চিত।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

দীপাবলিতে বিনিয়োগকারীদের উপহার! চারটি নতুন ডিজিটাল অ্যাপ ও আধুনিক ফিচার নিয়ে এল NSE

এনএসই দীপাবলিতে চালু করল চারটি নতুন মোবাইল অ্যাপ ও এনএসই এমএফ ইনভেস্ট প্ল্যাটফর্মে বড়সড় আপডেট। বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সহজ হল পোর্টফোলিও ট্র্যাকিং, অর্ডার প্লেসমেন্ট ও কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়া।

বিশ্বের অন্যতম দুর্বল পেনশন ব্যবস্থার তালিকায় ভারত, মার্সার রিপোর্টে উদ্বেগজনক তথ্য

মার্সার সিএফএ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল পেনশন ইনডেক্স ২০২৫-এ বিশ্বের অন্যতম দুর্বল পেনশন ব্যবস্থার তালিকায় স্থান পেল ভারত। দেশটির রেটিং ‘Grade D’, যেখানে পেনশন কাঠামোয় বড় ঘাটতি নির্দেশ করেছে রিপোর্ট।

ইপিএফও সদস্যদের জন্য বড় পরিবর্তন: সহজ হল টাকার তোলার নিয়ম

ইপিএফও-র নতুন নিয়মে টাকার তোলার প্রক্রিয়া সহজ হলো। এখন মাত্র তিনটি কারণে টাকা তোলা যাবে — প্রয়োজনীয় চাহিদা, বাসস্থান ও বিশেষ পরিস্থিতি। শিক্ষায় ১০ বার এবং বিবাহে ৫ বার পর্যন্ত আংশিক অর্থ তোলা যাবে।