মুদ্রানীতি কমিটির তিন দিনের বৈঠকের পর, আবারও মূল সুদের হার বা রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)। শুক্রবার (৬ অক্টোবর, ২০২৩) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ স্তরে বজায় রাখার ঘোষণা করলেন। আরবিআই-এর রেপো হারে কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় এক দিকে যেমন সাময়িক স্বস্তি পেতে পারেন ঋণগ্রহীতারা, তেমনই অন্য দিকে ফিক্সড ডিপোজিটে (এফডি) বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর। কারণ, ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের সুদে বাড়তি বোঝা যেমন চাপবে না, তেমনই স্থায়ী আমানতে উচ্চ সুদের হারের সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
রেপো রেট এবং এফডি সুদের হার
দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে, গত ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট মোট ২.৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল। এরপর থেকে তা স্থিতিশীল রয়েছে ৬.৫ শতাংশে। রেপো রেট বৃদ্ধির পর থেকে, বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক এফডি-তে বেশি হারে সুদের অফার করে। এই হার গত তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরবিআই-এর এই সিদ্ধান্তের পর গ্রাহকরা ২-৩ বছরের জন্য এফডি-তে উচ্চ হারে সুদের সুবিধা পাচ্ছেন।
কিন্তু আরবিআই যদি রেপো রেট হ্রাস করার পথ ধরে, সেক্ষেত্রে অন্য ব্যাঙ্কগুলিও এফডি-তে সুদের হার পরিবর্তন করে। অতীতে দেখা গিয়েছে, রেপো রেট হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গেই এফডি-তে সুদের হারও কমিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এ বার আর তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
রেপো রেট এবং ঋণের ইএমআই
গত দু’বছর ধরে আরবিআই যতবার রেপো রেট বাড়িয়েছে, অন্য ব্যাঙ্কগুলিও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঋণের সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। এর ফলে গাড়ি, বাড়ি, পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইএমআই গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে রেপো রেট আরও বাড়ানো হলে তা মধ্যবিত্ত শ্রেণির পকেটে বড় ধাক্কার সামিল! তবে এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকায় ঋণগ্রহীতারা সামান্য হলেও স্বস্তি পেলেন।
চতুর্থ বার অপরিবর্তিত রেপো রেট
এর আগে গত আগস্ট, জুন এবং এপ্রিল মাসে,মূল সুদের হারকে ফের এক বার ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ বার অক্টোবরেও একই সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে সাততলা বাড়িতে আগুন, মৃত অন্তত ৭, জখম ৫১