বাংলাদেশ: ৯৬-৯ (জাকের আলি ২৪ নট আউট, সাই কিশোর ৩-১২, ওয়াশিংটন সুন্দর ২-১৫)
ভারত: ৯৭-১ (৯.২ ওভারে) (তিলক বর্মা ৫৫ নট আউট, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৪০ নট আউট, রিপন মণ্ডল ১-২৬)
হ্যাংঝাউ: তিলক বর্মার ২৫ বলে অপরাজিত অর্ধশত রান এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের যোগ্য সঙ্গত ভারতকে খুব সহজেই পৌঁছে দিল এশিয়ান গেমসের পুরুষদের ক্রিকেটের ফাইনালে। ইনিংসের অর্ধেক বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় ভারত। এর জন্য ভারতীয় বোলারদেরও কৃতিত্বও কম নয়, বিশেষ করে দুই স্পিনার সাই কিশোর এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের।
শুক্রবার সকালে ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ক্রিকেট মাঠে আয়োজিত ম্যাচে ভারত টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৬ রান করে। জবাবে ভারত ৯.২ ওভারে ১ উইকেটে ৯৭ রান করে। ফলে ভারত ৬৪ বল বাকি থাকতেই এই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে যায়। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিজয়ীর সঙ্গে।
তিলক, ঋতুরাজের ব্যাটে রানের বন্যা
জয়ের জন্য রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত একদম শুরুতেই ধাক্কা খায়। আগের ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা যশস্বী জয়সোয়াল কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। ইনিংসের প্রথম ওভারে বল করতে আসেন রিপন মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাট শুরু করেন যশস্বী। কিন্তু চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান তিনি। রিপনের বলটা একদম যশস্বীর প্যাডের কাছে পড়েছিল। সেই বল যশস্বী সরাসরি পাঠিয়ে দেন শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। ভারতের স্কোর ১ উইকেটে শূন্য। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু বিধি বাম। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের সঙ্গী হন তিলক বর্মা। মাঠে রানের বন্যা ছোটে। বাংলাদেশের কোনো বোলারকেই রেয়াত করেননি তিলক। নবম ওভারের চতুর্থ বলে হাসান মুরাদকে ছয় মেরে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন তিলক। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৫৫ রান করে নট আউট থাকেন তিনি। ঋতুরাজও কিছু কম যান না। তিনিও ২৬টি বল খেলেন এবং ৪০ রান করে নট আউট থাকেন।
ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ
এর আগে ব্যাট করতে নেমে একদম শুরুতে কিছুক্ষণ উইকেট ধরে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটের জুটিতেই সবচেয়ে বেশি রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তারা। প্রথম উইকেট পড়ে ১৮ রানে। স্পিনার সাই সুন্দরের বলে যশস্বীকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়।
এর পরই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। তবু অল্পবিস্তর রান ওঠে চতুর্থ (১৫ রান), অষ্টম (১৬ রান) এবং নবম (১৫ রান) উইকেটের জুটিতে। যবলার মতো রান করেন পারভেজ হোসেন এমন (৩২ বলে ২৩ রান) এবং জাকের আলি। জাকের ২৯ বলে ২৪ রান করে নট আউট থাকেন। ভারতের দুই স্পিনার সাই কিশোর ১২ রানে ৩ উইকেট এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ১৫ রানে ২ উইকেট দখল করেন। বাংলাদেশের বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করে নেন অর্শদীপ সিং, তিলক বর্মা, রবি বিশনয় এবং শাহবাজ আহমেদ।