নিজস্ব প্রতিনিধি: মোবাইল যুগেও ছোটোদের যে একটু অন্যরকম ভাবতে শেখানো যায়, তা পূর্ব পুঁটিয়ারি অঞ্চলের এলাকাবাসী দেখিয়ে দিল। প্রথম বছর আবৃত্তি, সঙ্গীত ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি, গান ও চিত্রশিল্পে সন্তানদের উৎসাহিত করার জন্য অভিভাবকদের কুর্নিশ জানাতে হয়।
সম্প্রতি পূর্ব পুঁটিয়ারি তরুণ সংঘ আয়োজিত দু’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রায় শ’দুয়েক প্রতিযোগী যোগ দেয়। প্রথম দিনে ছিল আবৃত্তি ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা এবং দ্বিতীয় দিন সকালে ছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও দুপুরে ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’।

চলছে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। বিচারকের আসনে বরুণ চক্রবর্তী, পাপিয়া মিত্র ও গৌরীশঙ্কর মুখোপাধ্যায়।
বহু মানুষ নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফল প্রতিযোগীকে পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, শিশু বা কিশোর প্রতিযোগীর সঙ্গে বেশ কয়েক জন মা-ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় সর্বসাধারণ বিভাগে নাম লেখান ।
দু’দিনের এই অনুষ্ঠান এক আনন্দঘন আবহাওয়ার সৃষ্টি করে। আবৃত্তি বিভাগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা ছিল। ‘ক’ বিভাগে সফল নিলিজা সরকার (প্রথম), সংস্কৃতি চক্রবর্তী (দ্বিতীয়) ও ঈশিতা বিশ্বাস (তৃতীয়)। ‘খ’ বিভাগে যথাক্রমে অরুণিমা সাহা (প্রথম), অঙ্কলিকা বটব্যাল (দ্বিতীয়) ও স্নিগ্ধা সাহা (তৃতীয়)। ‘গ’ বিভাগে সঞ্চিতা বটব্যাল (প্রথম), অন্নপূর্ণা নন্দী (দ্বিতীয়) ও স্বপ্নন রায় (তৃতীয়)। বিচারকের আসনে ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বরুণ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি পাপিয়া মিত্র ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গৌরীশঙ্কর মুখোপাধ্যায়।

সংগীত-নৃত্যানুষ্ঠান।
রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে রিয়াংশি বসাক (প্রথম), ভিভান রজক (দ্বিতীয়)। ‘খ’ বিভাগে যথাক্রমে সম্বিত পাল (প্রথম), অদ্রিক মণ্ডল (দ্বিতীয়) ও প্রান্তিক দাস (তৃতীয়)। বিচারক ছিলেন প্রতীক কর্মকার ও মহুয়া রায়।
দ্বিতীয় দিনের অঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগে সফল প্রতিযোগীরা হল বিভান রাজা (প্রথম), কৃষ্ণা দাস (দ্বিতীয়) ও সমাদৃতা দত্ত (তৃতীয়)। ‘খ’ বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হল অমৃতা বিশ্বাস, সুপর্ণা রায় ও অতৃভা দাস। ‘গ’ বিভাগে যথাক্রমে সন্দীপ বেজ, অবন্তিকা রায় ও প্রিয়াংশী সাহা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে। বিচারকের আসন অলংকৃত করেছিলেন ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী স্বপন কুমার মল্লিক।

সফল প্রতিযোগীদের দেওয়া হল শংসাপত্র।
দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণ করে ও আসন্ন দুর্গাপুজোর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে সংস্থার এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ দিতে হয়।
উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও পৌরপিতা বিশ্বজিৎ মণ্ডল, মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের সচিব পিন্টু বিশ্বা-সহ নানা গুণীজন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী শ্রাবণী দত্ত ও ঝুমা চৌধুরী।
ছবি: প্রতিবেদক
কলকাতায় সাউথ সিটি মলে স্কেচার্সের নতুন স্টোর উদ্বোধন করলেন কার্তিক আরিয়ান