নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবার সন্ধ্যায় কলামন্দির সভাগৃহের কলাকুঞ্জ হলে এক শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল রস মগন মিউজিক অ্যাকাডেমি।
শাস্ত্রীয় সংগীতের কালজয়ী শিল্পী পদ্মবিভূষণ বাবা আব্দুল রাশিদ খান এবং পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ীকে স্মরণ করে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। তাঁদের ছবিতে মাল্যদান করেন তাঁদের যোগ্য উত্তরসূরি পণ্ডিত শুভময় ভট্টাচার্য ও প্রথিতযশা সংগীতজ্ঞ ও মিউজিক কম্পোজার শ্রী দুর্বাদল চ্যাটার্জি।

সরোদ বাদন পরিবেশন করছেন রণজিৎ সেনগুপ্ত। তবলায় সমীর নন্দী।
প্রথমেই সংগীত পরিবেশ্ন করেন পূবালিকা ভট্টাচার্য মৈত্র ও সঞ্চারী চৌধুরী। তাঁদের দ্বৈত পরিবেশন ছিল রাগ পুরিয়া ধনশ্রী উপরে। প্রথমে একতাল বিলম্বিত, একতাল দ্রুত এবং পরে একটি তারানা, তিনতালে নিবদ্ধ ছিল তাঁদের সংগীত পরিবেশন। প্রাচীন কালের বান্দিশ এবং আব্দুল রাশিদ খানের বান্দিশে দুই শিল্পী গোটা সভাগৃহকে মোহিত করে রাখেন। হারমোনিয়ামে ওঁদের সঙ্গে সঙ্গত করেন অ্যাকাডেমির গুরু পণ্ডিত শুভময় ভট্টাচার্য। তবলায় ছিলেন রঘুনাথ নন্দী এবং তানপুরায় ছিলেন সমাদৃতা হালদার।
পরের অনুষ্ঠান ছিল শিল্পী রণজিৎ সেনগুপ্তের। তিনি বাজালেন সরোদ, মিয়াঁ মল্লার রাগে। তাঁর অনবদ্য পরিবেশনায় শিল্পী শ্রোতাদের আনন্দ দান করেন। তবলায় সঙ্গত করেন সমীর নন্দী।

সংগীত পরিবেশন করছেন শুভাশিস মুখার্জি। তবলায় অশোক মুখার্জি এবং হারমোনিয়ামে রঞ্জন মুখার্জি।
শেষ শিল্পী ছিলেন শুভাশিস মুখার্জি, তবলায় সঙ্গত করেন অশোক মুখার্জি। রাগ চাঁদনী কেদার ও পরে রামদাসী মল্লার রাগে সংগীত পরিবেশন করেন শুভাশিস মুখার্জি। ওঁকে হারমোনিয়ামে সাহায্য করেন রঞ্জন মুখার্জি।
শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষার সঠিক উত্তরাধিকার বজায় রাখার কাজে পণ্ডিত শুভময় ভট্টাচার্য, তাঁর অ্যাকাডেমি এবং তাঁর শিষ্যমণ্ডলী যে ভাবে ব্রতী হয়েছেন, তা সব দিক থেকে ধন্যবাদার্হ।