Home সংস্কৃতি নৃত্য-রাগসংগীত-লোকসংগীতে জমে উঠল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের ‘মূর্চ্ছনা ২০২৪’

নৃত্য-রাগসংগীত-লোকসংগীতে জমে উঠল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের ‘মূর্চ্ছনা ২০২৪’

0
প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা।

পাপিয়া মিত্র

বড়িশার অন্তর্গত শীলপাড়া কালীকিংকর ভবনের দুর্গাদালানে অনুষ্ঠিত হল ‘মূর্চ্ছনা ২০২৪’। আয়োজনে সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদ। 

সাবর্ণ সংগ্রহশালার দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার দুর্গাদালানে মেলবন্ধন ঘটল নবীনের সঙ্গে প্রবীণের। সংগীতের সঙ্গে নৃত্য ও বাদ্যের। অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যাপক নীলা সরকার, সহযোগী হন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সহ-সভাপতি স্বপন রায়চৌধুরী। শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে ঠাকুরদালানে এক শুভ বার্তা ছড়িয়ে যায়। মাঙ্গলিক আচরণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে যায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সান্ধ্যকালীন সংগীতময় বৈঠক। 

নৃত্য পরিবেশন অর্পিতা পাণ্ডে রায়চৌধুরী ও নন্দিতা মণ্ডলের।

মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় তিন নবীন নৃত্যশিল্পীকে। চন্দনের তিলকে তাঁদের সম্মাননা জানানো হয় পরিবার পরিষদের পক্ষ থেকে। ওড়িশি নৃত্যের ‘মঙ্গলাচরণ’ পরিবেশন করেন মহাশ্বেতা রায়চৌধুরী। ‘কলাবতী’ রাগের তারানা পরিবেশিত হয় অর্পিতা পাণ্ডে রায়চৌধুরী ও নন্দিতা মণ্ডলের নৃত্যশৈলীর মাধ্যমে। প্রখর দগ্ধ তাপে শিল্পীত্রয়ের শিল্প নিবেদনে কোনো খামতি দেখা যায়নি।

শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনে আবীরা মুখোপাধ্যায়।

এর পর মঞ্চে আসেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী আবীরা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে সংগত করেন হারমোনিয়ামে পণ্ডিত দেবপ্রসাদ দে ও তালবাদ্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন শিল্পীকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় একই পদ্ধতিতে। ঠুমরী, দাদরা ও কাজরী পরিবেশনে শিল্পীর পরিশীলিত চর্চার পরিচয় মেলে। আসেন খেয়াল শিল্পী সুভাঞ্জন চক্রবর্তী। সংগতে ছিলেন পূর্ববর্তী দুই সহযোগী শিল্পী। ধ্রুপদী অনুষ্ঠানের মান বরাবর যেমন দেখিয়ে এসেছে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। 

অনুষ্ঠানের শেষ চমক ছিল লোকগীতি। এখানেই নবীনের সঙ্গে প্রবীণের মেলবন্ধন ঘটল। ঐতিহ্যময় বাউলগানে ছিলেন শিল্পী পূর্ণ চন্দ্র বাউল। উষ্ণ আবহাওয়ায় এতক্ষণ সময় ধরে যাঁর জন্য অপেক্ষা তিনি উজাড় করে দিলেন বাউল গানের রসদ। একে একে পরিবেশন করলেন, ‘তুমি বাউল বেশে আসবে বলে’, ‘চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘ওই কে আনিল রে, কোথায় ছিল রে’, সবাই ভালো থেকো, সুখে থেকো এখন বিদায় নিয়ে যাই’।

ভাষণ দিচ্ছেন সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী।

পরিবার পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায়চৌধুরী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাবর্ণ সংগ্রহশালার ঐতিহ্য ও ব্যাপ্তির কথা বললেন। বললেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের কাজের কথাও। দেবর্ষিবাবু জানালেন, নিউ আলিপুর কলেজের সঙ্গে আগামী দু’ বছরের মৌ-চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে পরিবার পরিষদের।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে সঞ্চালনা করেন তরুণ বসু ও তুলিকা রায়।

ছবি: পাপিয়া মিত্র

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version