সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি ও কালীপুজো। দীপাবলির সময় বাড়িঘর, চারপাশে সুন্দর সুন্দর সুদৃশ্য মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে। আলোর উৎসবে আতসবাজি জ্বালানোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রদীপ, মোমবাতিই হোক কিংবা আতসবাজি জ্বালানোর সময় অনেক সময় বেখেয়ালে ছ্যাঁকা লেগে যায়। জায়গাটায় পুড়ে গিয়ে জ্বালা করতে শুরু করে। জেনে নিন ঘরোয়া উপায় কীভাবে চটজলদি ছ্যাঁকা লাগা, পোড়া ক্ষত উপশম করবেন।
১) চটপট কেটে নিয়ে আলুর এক টুকরো ক্ষতস্থানে লাগান। আলুর রস ত্বকের ভেতরে গেলে আরাম পাবেন। যন্ত্রণা কমে যাবে। জ্বলুনি হবে না। তবে খেয়াল রাখবেন বেশি চেপে ধরে লাগাবেন না।
২) পোড়া ক্ষতস্থানে ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা দুধ লাগালে আরাম পাবেন। পুড়ে গিয়ে জ্বালা করলে সেই ছ্যাঁকা লাগা ক্ষতস্থান কলের জলের তলায় ধরুন। ১০-১৫ মিনিট এমন রাখবেন। অথবা ঠান্ডা দুধ লাগাতে পারেন। যন্ত্রণা কমে যাবে। তবে ভুলেও আইস কিউব ব্যবহার করবেন না তাতে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সংবেদনশীল টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
৩) বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে তা ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরার যন্ত্রণা কমানোর গুণ আছে। পোড়া, জ্বালা কমাতে পারে এই ওষুধীগুণসম্পন্ন গাছ। অ্যালোভেরার রস বা জেল পোড়া ক্ষতস্থানে লাগালে ফোস্কা পড়বে না। তবে অ্যালোভেরার রস বা জেল পোড়া ক্ষতস্থানে লাগানোর আগে সেই জায়গাটা ঠান্ডা জল বা ভিনিগার দিয়ে ধুয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর অ্যালোভেরার রস বা জেল লাগিয়ে নিন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখলে দেখবেন জ্বালা যন্ত্রণা একেবারে ভ্যানিশ হয়ে গেছে।
৪) হলুদের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষতস্থান নিরাময়ের গুণ আছে। তাই পোড়া ক্ষতস্থানে ঠান্ডা দুধ ও হলুদবাটা মিশিয়ে লাগালে যন্ত্রণা কমে যাবে। ফোস্কা পড়বে না। ব্যথার উপশম হবে। হলুদে curcuminoids নামে এক ধরনের বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ আছে যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ আছে।
৫) পোড়া ক্ষতস্থানের জ্বালা, যন্ত্রণা, ব্যথা বেদনা ও ফোস্কা পড়া আটকাতে পারে নারকেল তেল। নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, লোরিক অ্যাসিড, ক্যাপ্রিক অ্যাসিড, মিরিস্টিক অ্যাসিডের মতো ফ্যাটি অ্যাসিড যা পোড়া ক্ষতস্থান নিরাময় করতে পারে। অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ আছে নারকেল তেলে।
আরও দীপাবলি সংক্রান্ত নানা লেখা পড়ুন এখানে ক্লিক করে