এবছরের পুজোয় গোটা বাংলার লোকসংস্কৃতি উঠে আসছে দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজো বাবুবাগানের মণ্ডপে। বাবুবাগানের পুজোর মণ্ডপে গড়ে উঠছে আস্ত এক বিশালাকার রাজপ্রাসাদ। উত্তরবঙ্গ হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গ, গোটা বাংলাতেই উৎকৃষ্ট বৈচিত্র্যময় লোকজ সংস্কৃতিকে দেখা যায়। এবছর বাবুবাগানের পুজোর মণ্ডপে পুজোর আনন্দে শামিল হবেন বাংলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন লোকশিল্পীরাও। তাঁরা তাঁদের নাচগান, লোকজ সংস্কৃতির মাধ্যমে রাজপ্রাসাদকে মুখরিত করে তুলবেন।
বাবুবাগানের পুজোর সামগ্রিক পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন ড. সুজাতা গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবছরও বাবুবাগানের পুজোর মণ্ডপে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হচ্ছে। পুজোর আনন্দে শামিল হবেন বাংলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন লোকশিল্পীরাও। তাঁরা তাঁদের নাচগান, লোকজ সংস্কৃতির মাধ্যমে রাজপ্রাসাদকে মুখরিত করে তুলবেন। কখনো আদিবাসী নৃত্য তুলে ধরা হবে। তো কখনো রায়বেশে, নাটুয়ার মতো দক্ষিণবঙ্গের লোকনৃত্য। আবার উত্তরবঙ্গের লোকশিল্পীরা তাঁদের রাভা, মারুনি নৃত্য পরিবেশন করবেন।’
প্রতিমা তৈরি করছেন প্রদীপ রুদ্র পাল। আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণ সেন বরাট।
প্রতি বছর অভিনব থিমে নজর কাড়ে বাবুবাগান। এবছর পুজোর মাধ্যমে তারা বার্তা দিচ্ছে, ‘আমাদের গর্ব বাংলা, বাংলার গর্ব আমরা’। সুজাতা গুপ্ত আরও বলেন, ‘বিশালাকৃতির রাজপ্রাসাদের আদলে গড়ে উঠছে পুজোর মণ্ডপ। সেই রাজপ্রাসাদের ঠাকুর দালানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে অধিষ্ঠান করবেন মা দুর্গা। পুজোর ক’টা দিন ঢাকের আওয়াজ, শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত থাকবে রাজপ্রাসাদ। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন।’
এবারের পুজোয় কার কী থিম দেখুন এখানে