রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা প্রত্যেক বাঙালির হৃদয়ের কাছাকাছি। কারণ, দুর্গাপুজো যেমন শুধু এক উৎসব নয়, দুর্গাপুজো এক ঘরে ফেরার গল্প বলে। ঠিক যেমন প্রতি বছর মা আসেন তাঁর সন্তানদের কাছে। তেমনই কিছু মানুষ ফিরে আসেন বারবার বাংলার মাটিতে সম্পর্কের গভীর টানে। সেই টান তৈরি হয় স্মৃতির পথ ধরে, সম্পর্কের আহ্বানে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কাবুলিওয়ালা” গল্পে আমরা ভিনদেশি কাবুলিওয়ালা রহমত একজন ফল বিক্রেতা। ভিনদেশি মানুষটির সঙ্গে বাংলার মাটিতেই শিশু মিনির এক আবেগপ্রবণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এবছর ঢাকুরিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় শিল্পী শৌভিক কালী ও পরিমল পালের দৃশ্যকথনে ‘কাবুলিওয়ালা’ উঠে আসছে পুজোর মণ্ডপে।
পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়, কাবুলিওয়ালার দৃশ্যকথনের মাধ্যমে কাবুলিওয়ালা রহমতের সঙ্গে মিনির গভীর সম্পর্কের কথা তুলে ধরা হবে। যেখানে ভাষা নেই, ধর্ম নেই, বর্ণভেদ নেই। আছে কেবল এক আত্মিক টানে। যে ভাবাবেগের টানেই মানুষের কাছে মানুষ ফিরে আসে। শহর ও গ্রাম পাল্টে গেছে, বদলে গেছে রাস্তাঘাট। এমনকি, প্রগতিশীল হয়ে আমূল পরিবর্তন হয়েছে মানবজীবনের। কিন্তু সেই ভাবাবেগের সুর যেন আজও ক্ষীণ ভাবে কোথাও বেজে চলেছে।
ঢাকুরিয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজোয় এবছর এক ভিনদেশি আগন্তুকের দৃষ্টিকোণ দিয়ে এক পরিচিত উৎসবমুখর শহরতলীকে দেখা হবে। যেখানে দেবী দুর্গাও কেবল মূর্তি নন, তিনি যেন এক আশ্রয়ের প্রতীক।
দুর্গাপুজোর সব প্রতিবেদন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।