পরিকাঠামোর অভাবের কারণে রাজ্যে এক ধাক্কায় ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যে মোট বিএড কলেজের সংখ্যা ৬২৪ টির কাছাকাছি এর মধ্যে ২৫৩টির অনুমোদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ুয়ারা। তবে পরিকাঠামোর যুক্তি সামনে এলেও, দুর্নীতির অভিযোগই বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিলের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএড কলেজের অনুমোদন পেতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই নিয়ম না মানা হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিএড কলেজের অনুমোদন মেলে না। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই) নিয়ম অনুযায়ী বিএড কলেজে শিক্ষিক ও পড়ুয়াদের একটি নির্দিষ্টি অনুপাত বজায় রাখতে হবে। সেই অনুপাত যদি বজায় না থাকে অনুমোদন দেওয়া যাবে না।
রাজ্যে মোট বিএড কলেজের ৬০০টি বেসরকারি এবং ২৪টি সরকারি। এর মধ্যে ৩৭১টি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন মেলেনি।
যদিও রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা ভট্টাচার্য আগেই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিএড কলেজকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বিষয় দেখা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই অনুপাত বজায় রাখছে না তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে না।’ অনেকে ভুয়ো নথি দিয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে কয়েকটি বেসরকারি বিএড কলেজের দাবি, তারা শিক্ষক কম থাকার জন্য কোনও ভাবেই দায়ী নন। কারণ, অনেক শিক্ষক চলে যাওয়ায় তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু শিক্ষকদের ইন্টারভিউ নেওয়ার আগেই আবার অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করতে হয়। ফলে তারা এনসিটিই শর্তাবলী মানতে পারেনি। তাদের দাবি, এক্ষেত্রে আরও কিছুদিন ছাড় দিতে পারত রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আপানারা দেখেছেন কী ভাবে নিয়োগ দুর্নীতির খরব সাংবাদমাধ্যমে আসছে। বিএড কলেজ থেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের কড়া হওয়ার প্রয়োজন ছিল। দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি তার বিচার আদালত করবে। ’
আরও পডু়ন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইকে ডেডলাইন সুপ্রিম কোর্টের, আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা