নয়াদিল্লি: ২০২৫ সাল থেকে শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনা করবে জাতীয় পরীক্ষার সংস্থা (NTA)। অর্থাৎ, এই কেন্দ্রীয় পরীক্ষক সংস্থা আর কোনও নিয়োগ পরীক্ষা নেবে না। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
পরীক্ষার সংস্কারের অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট (NEET)-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অন্যান্য পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা পর্যালোচনা করার পর এই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এনটিএ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মধ্যে আলোচনা চলছে নিট পরীক্ষাকে ঐতিহ্যবাহী পেন এবং পেপার পদ্ধতিতে রাখা হবে না কি কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষায় (CBT) রূপান্তরিত করা হবে।
ধর্মেন্দ্র প্রধান নিশ্চিত করেছেন, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (CUET-UG) আগের মতোই বছরে একবার নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “সরকার ভবিষ্যতে প্রযুক্তি-চালিত এবং কম্পিউটার অ্যাডাপটিভ টেস্টের দিকে এগোতে চাইছে।”
২০২৫ সালে এনটিএ-কে পুনর্গঠনের ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী। অন্তত ১০টি নতুন পদ তৈরি করা হবে এবং সংস্থার কাজের পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। পরীক্ষার ত্রুটি-শূন্যতা নিশ্চিত করতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
প্রসঙ্গত, শেষ বারের নিট পরীক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভে সামিল হন পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ফলে, নিট নিয়ে দুই তরফের বহুমুখী আক্রমণের সামনে পড়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
এরই মধ্যে নিট নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্বীকার করে নিয়েছিলেন বেশ কিছু জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, নিট দুর্নীতিতে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-র কোনও আধিকারিকের নাম জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। পরবর্তীতে পুরো কাঠামোর সংশোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: এসবিআই ক্লার্ক নিয়োগ: ১৩,৭৩৫ পদের জন্য আবেদন শুরু, কী ভাবে করবেন