জয়েন্ট এন্ট্রাস এগ্জামিনেশন (অ্যাডভান্সড) নিয়ে শুক্রবার একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের। পরীক্ষার প্রচেষ্টার সংখ্যা তিন থেকে দুই-এ কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে আংশিক স্বস্তি মিলল। শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে ১৮ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে নিজেদের কোর্স থেকে ড্রপআউট করা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তবে, জেইই (অ্যাডভান্সড)-এর প্রচেষ্টার সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে।
সিনিয়র আইনজীবী কে পরমেশ্বর শিক্ষার্থীদের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “প্রথমে তিনটি প্রচেষ্টা অনুমোদন করা হয়েছিল, কিন্তু মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হয়। এটি একেবারেই অন্যায্য। ৫ নভেম্বর, ২০২৪-এ একটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে ২০২৩, ২০২৪, এবং ২০২৫ সালের শিক্ষার্থীরা যোগ্য হবে। এই প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অপরিবর্তনীয়।”
জয়েন্ট অ্যাডমিশন বোর্ডের (জেএবি) পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে যুক্তি দেখান, “নিয়মিত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের বি-টেক কোর্সের পরিবর্তে জেইই পরীক্ষার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল। এটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নেওয়া একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত।”
বিচারপতি বিআর গাভৈ এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “৫ নভেম্বর, ২০২৪-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একটি স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে ২০২৩, ২০২৪, এবং ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীরা জেইই (অ্যাডভান্সড)-এ বসতে পারবে। এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে যদি কোনো শিক্ষার্থী নিজের কোর্স থেকে ড্রপআউট করে থাকে, তবে ১৮ নভেম্বর, ২০২৪-এ সেই প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করা তাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে না।”
আদালত আরও জানিয়েছে, “বিশেষ পরিস্থিতিতে, জেএবি-এর সিদ্ধান্তের গুণগত মান নিয়ে মন্তব্য না করেও, ৫ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে ড্রপআউট করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে।”
আদালত স্পষ্ট করেছে যে কর্তৃপক্ষের বুদ্ধিমত্তার ওপর কোনও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। বেঞ্চ বলে, “যদি কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণে প্রচেষ্টার সীমা তিন বছর থেকে দুই বছরে কমানো হয়ে থাকে, তবে তাতে কোনও ভুল নেই।”
৫ নভেম্বর, ২০২৪-এ জেএবি ঘোষণা করেছিল যে শিক্ষার্থীরা জেইই (অ্যাডভান্সড)-এ তিনবার বসতে পারবে। কিন্তু ১৩ দিন পর, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪-এ সেই সিদ্ধান্ত বদলে প্রচেষ্টার সংখ্যা দুই-এ নামিয়ে আনা হয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এবং এই রায়ে আংশিক স্বস্তি মিলল।